২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর প্রথমবারের মতো নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে কার্যালয় এখনও বন্ধ। দলটির সিনিয়র নেতারা এখনও সমাবেশস্থলে আসেননি।
বিএনপির পূর্বঘোষিত বিজয় শোভাযাত্রা পালনের জন্য শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার পর থেকেই নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন। এ সময় তারা নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। দুপুর ১টায় এখান থেকেই শোভাযাত্রা শুরু হবে, শেষ হবে শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা সফল করার জন্য বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি রয়েছে স্বাভাবিক।
এর আগে, সকালে একটি পিকআপে করে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহারের জন্য মাইক আনা হয় নয়াপল্টনে। আশপাশের অলিগলিতে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিএনপির র্যালি ঘিরে নয়াপল্টন এলাকায় সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। আশপাশে বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
গত ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশের পর পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকেই পরিত্যক্ত ও তালাবদ্ধ রয়েছে বিএনপির প্রধান কার্যালয়।
এদিকে আজ সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, নির্বাচনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড করা যাবে না—এমন নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিজয়ের আনন্দ প্রকাশে সবার অধিকার রয়েছে। তাই আমরা এই বিজয়ের দিনে কাউকে মানা করছি না। তবে সংযতভাবে চলতে হবে, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে হবে। ভোটবিরোধী কর্মকাণ্ড চালালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।