১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আটজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ রায় দেন।
অব্যাহতি পাওয়া অন্যরা হলেন- তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।
২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল, রাজধানীর শাহবাগ থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৭ সালে যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পে ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পেতে আসামিরা বাদীর কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজের কার্যাদেশ পেতে ভয় দেখিয়ে আরও ৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা আদায় করা হয়।
তদন্ত শেষে ৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ঢাকা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে বাদীর হলফনামার ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই উল্লেখ করে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাদী বিশেষ মহলের চাপে এই মামলা দায়ের করেছিলেন। ২০০৯ সালের ৭ মে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হলফনামা দিয়ে বাদী অভিযোগ প্রত্যাহার করেন এবং জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই।
২৭ নভেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত তারেক রহমানসহ আটজনকে চাঁদাবাজির মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।
মামলার অভিযোগ অনুসারে, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্য আসামিরা বাদীর কাছ থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা আদায় করেন। এসব অর্থ নগদ ও চেকের মাধ্যমে নেওয়া হয় বলে বাদী অভিযোগ করেছিলেন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশ এবং বাদীর হলফনামার ভিত্তিতে আদালত এ মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছেন। এই রায় তারেক রহমানসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বায়ান্ন/এএস/একে