নাসরিন ইসলাম কে জয়িতা পুরস্করিত করার দাবী-পাহাড়বাসীর। নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী’, সেই বিভাগে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মানে ভূষিত করার দাবী উঠেছে রাঙ্গামাটি জেলার সন্তান নাসরিন ইসলাম কে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে তাঁকে স্বীকৃতি দেওয়া হলে পাহাড়বাসীর দাবী পূরন হবে।
নাসরিন ইসলাম হলেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা প্যানেল ভাইস চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্নধার। পাহাড়ে তার কর্মলিপি অনেক,হাটি হাটি পা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন জনগণের জন্য,
রাঙ্গামাটি জেলার সন্তান তিনি, কিন্তু তিনি ছিলেন পিতার অন্য সন্তানের মধ্যে অন্যতম। নাসরিন ইসলাম নিজের এলাকাসহ সদর উপজেলায় কাজ করে যাচ্ছেন,তার ০১ টি মাত্র সন্তান।
২০১৯ সালে স্থানীয় জনপ্রিয়তার সাথে উপজেলা পরিষদে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন,তিনি মহিলা পরিষদসহ যৌথভাবে তাদের নিয়ে নেতৃত্ববিষয়ক দল গঠন, অধিকার আদায়সহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন।
কিন্তু অন্যের অধীনে এভাবে কত দিন? পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাকমা,মারমাসহ সকলকে বোঝাচ্ছেন ।তিনি বলেন সমাজসেবাই আমার মূল লক্ষ্য।পাহাড়ে সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা, স্বাস্থ্যসেবা, প্রধানমন্ত্রীর সকল আদেশ পান্তিক পর্যায়ে পৌছে দেওয়া,সেলাইমেশিন বিতরণ,জেলাদের হাতে খাদ্য তুলে দেওয়া,কিশোরীদের জন্য কাজ করা,দুস্থদের জন্য কাজ করাসহ,ভোটাধিকার প্রয়োগসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য তাঁকে একাধিকবার আঞ্চলিক দলগুলোর মুখোমুখি হতে হয়েছে, তাঁকে সইতে হয় নানা নির্যাতন।
তিনি আরো বলেন,নির্বাচিত হয়েছি পর্যন্ত একদিনের জন্য বসে থাকিনি, প্রতিটি দ্বারে দ্বারে প্রতিনিয়ত কাজ করেছি, করোনা ভাইরাস শুরু থেকে প্রতিটি দিন জনগণের সেবক হয়ে কাজ করেছি, রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে জনগণের যে দাবি আমার ছিল, তা পূরণ করার চেষ্টা করেছি।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে,নাসরিন ইসলাম হল একজন সেবক,এই সেবককে ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার দিলে পাহাড়ের আপামর জনগন অত্যন্ত খুশী হবে। এবিষয়ে নাসরিন ইসলাম বলেন,নারীরা যদি সচেতন হয়, তাহলে সোনার বাংলা গড়া সম্ভব। পাহাড়ে আমি চেষ্টা করে প্রতি শিশুকে শিক্ষামুখী করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি । ভবিষ্যতে অবহেলিত এসব শিশুকে নিয়ে আরও কাজ করতে চাই। তাদের মধ্যে আলো ছড়িয়ে দিতে চাই। মানুষ, রাষ্ট্র, বিশ্ববাসী যেন জানতে পারে, এ রকম শিশুরা এখানে বসবাস করে।
সচেতনতামূলক কথপকথন, নারীদের অধিকার আদায়, ব্যক্তিগত সঞ্চয়, এইডসের ভয়াবহতা তুলে ধরা, মাদকের বিরুদ্ধে সেমিনার, শিশু শিক্ষায় সবাইকে জাগিয়ে তোলা এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন করে থাকি।