চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় অফিস কক্ষের বাইরে খোলা জায়গায় ভ্রাম্যমাণ ভূমি অফিস স্থাপন করে ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি সেবা প্রদানের জন্য ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন।
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পটিয়া উপজেলা ভুমি অফিসে এই সেবা চালু করা হয়েছে এবং জনগণকে এই সেবা গ্রহনের আহ্বান জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন।
ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, অফিসের সামনে খোলা জায়গায় অফিসের সামনে পুরো অফিস নিয়ে হাজির থাকবেন এসিল্যান্ড। ই-নামজারি আবেদন, নামজারি, শুনানি, অনুুমোদিত নামজারি (ডিসিআর) ও খতিয়ান সংগ্রহ, ভূমি উন্নায়ন কর (খাজনা) দেওয়াসহ ভূমি সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা তাৎক্ষনিকভাবে সমাধান বা পরামর্শ দিবেন নিয়মিত। এখানে দালালদের হাতে প্রতারনার সুযোগ নেই। ভুমি অফিসে আসা লোকজন যাতে দালালদের খপ্পরে না পরে সেই জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন বলেন, ভুমি অফিসে দালালদের হাতে অনেকেই প্রতারিত হয়। অনেকেই সরাসরি কথা বলার সুযোগ পায় না বা অনেকে ভুমি সংক্রান্ত জটিলতা বুঝে না। এই সুযোগটা দালালরা নিয়ে থাকে। তাই সরাসরি মানুষের দৌঁড় গোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে এবং সাধারন সেবা প্রার্থীদের সেবা প্রাপ্তি সহজ করতে ও শতভাগ হয়রানি মুক্ত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে অফিসের বাইরে সাধারণ মানুষের সেবা প্রদানের ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করি । দালালমুক্ত ও হয়রানিমুক্ত ভূমি সেবা প্রদানের জন্য এখন থেকে নিয়মিত অফিস কক্ষের বাইরে গণশুনানি চলবে। সেবা প্রার্থীরা প্রথমেই যেনো এসিল্যান্ড এর সাথে কথা বলে প্রাথমিক প্রতিকার পায় সেই উদ্যেশ্যেই এ উদ্যোগ। এখানে সরাসরি ই-নামজারি আবেদন, নামজারি, শুনানি, অনুমােদিত নামজারি (ডিসিআর) ও খতিয়ান সংগ্রহ, ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) দেওয়াসহ ভূমি সংক্রান্ত যে কোনাে সমস্যা তাৎক্ষনিকভাবে সমাধান বা পরামর্শ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, মানুষ যাতে সরাসরি তাদের এসিল্যান্ডকে তাদের সমস্যার কথা বলতে পারে এই বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রামের সার্বিক নির্দেশনায় পরিচালিত এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। জেলা প্রশাসক স্যার চট্টগ্রামের সার্বিক নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত পটিয়া ভুমি অফিসে এই প্রচেস্টা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য রবিবার এই ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ শুরুর দিনে তিনজন সেবা প্রত্যাশীর নথি অনুমোদন করে খতিয়ান হাতে হাতে তুলে দেই। ৩৫ টি নতুন খতিয়ান অনুমোদন করে তা দ্রুত সেবা প্রত্যাশীর কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। ১১টি নামজারি নথি অনুমোদন করেছেন।
এছাড়াও ১৩ জন সেবা প্রত্যাশী জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসলে তাদের আবেদন গ্রহণ করে সঠিক পরামর্শ দিয়ে তা দ্রুত সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা প্রদান করেন মো. রাজিব হোসেন।