ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪শে মাঘ ১৪৩১

পাবনায় আ. লীগের অফিস, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় হলের নামফলক ভাঙচুর

পলাশ হোসেন, পাবনা | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০২:১০:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ফেইসবুক পেজ থেকে জানানো হয় ভারতে অবস্থান নেয়া আ. লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন। এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এর ধারাবাহিকতার বাইরে নয় পাবনা। পাবনাতেও আ. লীগের অফিস ভাঙচুর, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় হলের নামফলক থেকে শেখ পরিবারের নাম মুছে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এসব ভাঙচুর চালানো হয়।

শুরুতে এদিন রাত ৯টার দিকে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে শহরের শহিদ চত্ত্বরে এসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীতে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর সাড়ে ১০ টার দিকে আবার মিছিল নিয়ে গিয়ে এডওয়ার্ড কলেজের শেখ রাসেল হলের নামফলক মুছে দেয়া হয়। একইসাথে ভেঙে ফেলা হয় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ব্যানার সংবলিত গেইট। এর আগে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল ও শেখ হাসিনা হলের ফলক ভেঙে ও মুছে দেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এরপর এডওয়ার্ড কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে রাত ১১টার দিকে শহরের বীর রফিকুল ইসলাম বকুল স্মরণে স্বাধীনতা চত্ত্বরে টেরাকোটার ম্যুরালে শেখ মুজিবের তর্জনী ভেঙে দেয়া হয়। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা আ. লীগের পার্টি অফিসে ঢুকে ভগ্নস্তুপে আবার ভাঙচুর চালায় ও আগুন দেয়।

এর বাইরে একইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি আলহাজ্ব মোড়ে বিজয় স্তম্ভের পাশে নির্মিত ঘৃণা স্তম্ভ ভাঙচুর করা হয়।

এব্যাপারে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বরকত উল্লাহ ফাহাদ বলেন, দেশের‌ কোথাও ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে না। ফ্যাসিবাদের শেষ পরিণতি দেখে কেউ যাতে আর ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে সাহস না পায়। সেজন্য আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, আমাদের টহল টিম নিয়মিতই টহল দিয়ে থাকে। ভাঙচুর বা এধরণের ঘটনা সম্পর্কে জেলা পুলিশ অবগত নয়। তবে এধরণের ঘটনা ঘটে থাকলে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ