রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যেসব দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে তিনি সে সব দেশের বিরুদ্ধে আঘাত হানতে বাধ্য হবেন। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি এই হুশিয়ারি দেন। রুশ বার্তা সংস্থা ‘তাস’ একথা জানিয়েছে।
পুতিন চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সরবরাহকৃত দুর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে অনুমতি দেয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্র রুশ সীমান্তে নিক্ষেপ করা হয়েছে। এসব দেশের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর মস্কোর অধিকার রয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে কিয়েভ রুশ সীমান্তে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর রাশিয়া ইউক্রেনের দিনিপ্রো শহরে পাল্টা মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর পুতিন এই মন্তব্য করেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট পশ্চিমাদের সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ক্রমেই বৈশ্বিক সংঘাতে পরিণত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইউক্রেনকে তাদের অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করার পর এই যুদ্ধ এখন বিশ্বকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেছেন, মস্কো এসব দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানতে বাধ্য হবে। রাশিয়া ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনায় একটি নতুন ধরণের হাইপারসনিক মাঝারি পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে মার্কিন এবং ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিয়েছে। এই ধরনের আরো পাল্টা জবাব দেয়া হবে। পাল্টা জবাব দেয়ার আগে বেসামরিক নাগরিকদের সতর্ক করা হবে।
ভাষণে পুতিন জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমোদনের পর ইউক্রেন ১৯ নভেম্বর মার্কিন-নির্মিত ছয়টি এটিএসিএমএস এবং গতকাল ২১ নভেম্বর ব্রিটিশ স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালায়।
এদিকে বৃহস্পতিবার লন্ডনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কেলিন স্কাই নিউজকে বলেছেন, ব্রিটেন এখনো ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি জড়িত। যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর সমর্থন ছাড়া রুশ সীমান্তে এই ধরনের হামলা হতেই পারে না।
তার অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জিন-পিয়েরে। তিনি বলেছেন, রুশ সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পিছনে রাশিয়া ছিল।
বায়ান্ন/এসএ