প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সপ্ন বাস্তবায়নে কৃষিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে,জেলার কৃষি ক্ষেত্রে খাদ্যে সয়ংসম্পুর্নতা অর্জনে এক ইঞ্চিও আবাদি জমি খালি রাখা যাবে না।সরকার কৃষি ও কৃষকের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক হতে সল্পসুদে কৃষি ঋন প্রদানের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি বান্ধব এবং নিজেও নিজের আঙ্গিনায় বিভিন্ন সবজি ও হাসঁ মুরগি পালন করছেন,যা আমরা টেলিভিশন এর একটি প্রতিবেদনে দেখেছি।আমাদের সকলের উচিত নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় শাকসবজির চাষ করা।কৃষি ঋন মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটাই বলেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরিজী।
পার্বত্য বান্দরবানে কৃষি ও কৃষকের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কৃষকদের বিভিন্ন অর্থকরি ফসলের ব্যাপক উৎপাদন সহায়ক চাষাবাদের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদানের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে এক দিন ব্যাপি শুরু হয়েছে কৃষি ঋন মেলা ২০২৩।
২০শে ফেব্রুয়ার(সোমবার) সকালে জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এবং সোনালী ব্যাংক লিঃ ও সকল তফসিলি ব্যাংক এর আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সম্প্রীতির মঞ্চে কৃষি ঋন মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরিজী।
সোনালী ব্যাংক এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওসমান গনি এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক লুৎফর রহমান,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ শাহনেওয়াজ চৌধুরী,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) ফজলুর রহমান,সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার মোঃ রফিকুল ইসলাম।এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের প্রতিনিধি বৃন্দ।
মেলায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংক গুলো হলো সোনালী ব্যাংক,ট্রাস্ট ব্যাংক,অগ্রনী ব্যাংক,জনতা ব্যাংক,রূপালী ব্যাংক ,ইউসিবি ব্যাংক,আনছার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক,কৃষি ব্যাংক,ডাচ বাংলা ব্যাংক,পূবালী ব্যাংক,উত্তরা ব্যাংক সহ মোট ১৪ টি ব্যাংক এবারের কৃষি ঋন মেলায় অংশগ্রহণ করে।
মেলা সংশ্লিষ্টদের সুত্রে জানানো হয় মেলা উপলক্ষে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকল্পে মোট ৫৭ লক্ষ ২০ হাজার কৃষি ঋন বিতরণ করা হয়েছে এবারের মেলায়।মেলা উদ্বোধন শেষে কৃষি উদ্যোক্তাদের মাঝে বিভিন্ন অংকের কৃষি ঋন বিতরণ করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরিজী।