জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত বিএনপির শোভাযাত্রায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতীকী আয়নাঘরে বন্দি করে উপস্থাপন করা হয়।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত এই শোভাযাত্রায় উপস্থিত জনগণের দৃষ্টি কাড়ে অভিনব এই আয়োজনটি।
শোভাযাত্রায় দেখা যায়, একটি খাঁচার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন মধ্যবয়স্ক এক নারী, যিনি হালকা সবুজ শাড়ি ও সানগ্লাস পরে আছেন এবং তার সাজসজ্জা অনেকটাই শেখ হাসিনার মতো করে সাজানো হয়েছে। তার মাথায় চুলের বেণী দিয়ে দুটি শিং আকৃতির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং মুখে রং ও কৃত্রিম দাঁতের মাধ্যমে রাক্ষসীর মতো চেহারা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
খাঁচার বাইরে আরও কয়েকটি কৃত্রিম কঙ্কাল ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা পুরো চিত্রটিকে আরো ভীতিপ্রদ করেছে। খাঁচার চারপাশে ঝোলানো প্ল্যাকার্ডগুলোতে লেখা ছিল: “বাংলাদেশের ইতিহাসের নিকৃষ্টতম রাক্ষসী”, “আমি দলের সমস্ত নেতাকর্মীদের ফেলে পালিয়ে যাই”, “আমি নিরপরাধ ও নির্দোষ মানুষ গুম করি”, “আমি ভারতের সাথে হাত মিলিয়ে দেশকে ধ্বংস করি”, “আমি নিরপরাধ ছাত্র খুনি” — এই ধরনের বিভিন্ন বিতর্কিত ও কটাক্ষমূলক মন্তব্য।
এই শোভাযাত্রায় বিএনপির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ‘আয়নাঘরে বন্দি’ করে প্রতীকীভাবে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, যা শোভাযাত্রায় আসা সাধারণ মানুষদের মাঝেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে