বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে কয়েক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। কারণ মন্দার আশঙ্কায় চাহিদায় প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে গত মাসে চীনের ক্রুড আমদানি ধীর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে নির্দেশ করে।
জানা গেছে, প্রতি ব্যারেল বেন্ট ক্রুডের দাম ৭৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক আট শতাংশ কমে ৯৪ দশমিক ১৮ ডলারে নেমেছে, যা ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহের পর সর্বনিম্ন। তাছাড়া সাপ্তাহিকভিত্তিতে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ২০২০ সালের এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন হয়েছে।
এদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের মূল্য ব্যারেল প্রতি ৬৭ সেন্ট বা শূন্য দশমিক আট শতাংশ কমে ৮৮ দশমিক ৩৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (৫ আগস্ট) অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেলে ৮০ সেন্ট বেড়ে হয় ৯৪ দশমিক ৯২ মার্কিন ডলার। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ৪৭ সেন্ট বেড়ে হয় ৮৯ দশমিক ০১ ডলার।
বিশ্বে সবচেয় বেশি ক্রুড তেল আমদানি করে চীন। জুলাই মাসে দেশটি প্রতিদিন ৮ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল আমদানি করেছে। কিন্তু তা গত বছরের তুলনায় নয় দশমিক পাঁচ শতাংশ কম। উচ্চ ক্রুড মূল্য ও দুর্বল অভ্যন্তরীণ মার্জিনের মধ্যে চীনের শোধনাকারীরা মজুতও কমিয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির ভয়ংকর দিনগুলোতে ঐতিহাসিক পতনের পর চলতি বছরের শুরুর দিকে তেলের দাম হঠাৎ করে ব্যারেলপ্রতি ১২০ ডলার হয়ে যায়। এর পেছনে করোনাকালীন ধাক্কা সামলে তেলের চাহিদা বৃদ্ধি এবং ইউক্রেন আক্রমণের জেরে বৃহৎ জ্বালানি সরবরাহকারী রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ছিল বলে মনে করা হয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা, উদীয়মান বাজারগুলোতে ঋণ সংকট এবং বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক চীনের ‘জিরো কোভিড’ নীতির কারণে জ্বালানি তেলের ভবিষ্যৎ চাহিদা এখনো খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়।