ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

যমুনা সার কারখানা চালু হবে কবে

কামরুল হাসান, জামালপুর : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৪ অগাস্ট ২০২৪ ০২:৩৫:০০ অপরাহ্ন | ময়মনসিংহ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ যমুনা সার কারখানা (জেএফসিএল) ১৫ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ গ্যাসের চাপ সাময়িক কমিয়ে দেয়ায় ওই দিন সকাল থেকে ইউরিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। চলতি আমন মৌসুমে সারের যে চাহিদা রয়েছে তার জন্য কৃষক সমাজসহ বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। তাই সচেতন মহলের প্রশ্ন- বন্ধ যমুনা সার কারখানা আবার চালু হবে কবে?

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানির উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখার স্বার্থে যমুনা সার কারখানার গ্যাস সরবরাহ কমানো হয়েছে। জেএফসিএল সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন কেপিআই-১ মানসম্পন্ন যমুনা সার কারখানা প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই দৈনিক ১ হাজার ৭শ’ মে. টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করে আসছিল৷ কয়েক বছর ধরে গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও মেশিনারিজ ত্রুটির জন্য উৎপাদনের মাত্রা কমে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২শ’ মে. টন পর্যন্ত নেমে আসছিল। এরমধ্যে প্রতিবছর দুই-একবার কর্তৃপক্ষ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করায় এ কারখানায় সার উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে। এদিকে ১৪ জানুয়ারি সোমবার  দুপুর ২.৩০টা থেকে ফের গ্যাসের চাপ হঠাৎ কমে যায়। ফলে ১৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল থেকে কারখানার ইউরিয়া সার উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানিতে সার উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিআইসি। এজন্য সেখানে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে যমুনা সার কারখানায় গ্যাসের চাপ কমানো হয়। জেএফসিএল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, যমুনা সার কারখানার উৎপাদিত সারের গুণগত মান অন্যান্য যে কোনো কারখানার সারের চেয়ে ভালো। যমুনা সার কারখানা বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্জলের ২০টি জেলার সারের চাহিদা পূরণ করে আসছে। বর্তমানে এটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা শঙ্কিত। এখানে দ্রুত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতসহ উৎপাদন শুরুর জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের চাপ প্রয়োজন। এ চাপ ৯ পিএসআই-এ নেমে এলে উৎপাদন সম্ভব হয় না। তিনি আরও জানান, কারখানার গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোং গ্যাস স্বল্পতার কথা জানায়। ১৪ জানুয়ারি সোমবার দুপুর থেকেই গ্যাস স্বল্পতার দরুন উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল। বর্তমানে বিদ্যুৎ ও ইউটিলিটি উৎপাদন চালু থাকলেও ১৫ জানুয়ারি থেকে সার উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। পুনরায় উৎপাদন শুরুর ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেন নি। তবে কমান্ড এরিয়ায় সারের ঘাটতি নেই বলে জানান।