বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, রাজপথে ফয়সালার হুংকার দিচ্ছেন, লজ্জা নেই। তারা দুর্নীতির রাজপুত্র পেতে পারে, রাজপথের প্রকৃত রাজপুত্র তো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) গুলিস্তানে ক্ষমতাসীনদের শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এ সমাবেশের আয়োজন করে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, এ দেশকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হতে দেওয়া হবে না। গণতান্ত্রিক লাইসেন্স নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা করলে ছাত্র জনতা জবাব দেবে। যারা অনির্বাচিত সরকারের দালালি করবে, সংবিধানের ধারাবাহিকতায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে, আমরা তাদের দম্ভ চূর্ণ করে দেবো।
বিএনপির উদ্দেশ্যে সাদ্দাম হোসেন বলেন, তারা রাজপথে ফয়সালার হুংকার দিচ্ছেন। এদের লজ্জা নেই। তারা দুর্নীতির রাজপুত্র পেতে পারে, রাজপথের রাজপুত্র বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রজনতাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে আবারও জয়ী করবে।
এসময় এসএসসি সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানান ছাত্রলীগের সভাপতি।
এর আগে বিকেল সোয়া তিনটায় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শান্তি সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্বে করছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। আরও অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
সমাবেশ উপলক্ষে দুপুর থেকে রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন ইউনিট এবং দেশের বিভিন্ন জেলা শাখা থেকে তিন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আসেন।
তবে বৃষ্টিতে সমাবেশে উপস্থিতি কিছুটা বেকায়দায় পড়ে। কেউ কেউ আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নেন। বিঘ্ন ঘটলেও অনেকে আবার ভিজেই স্পটে দাড়িয়ে থাকেন।