বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, হাসিনাকে এ দেশে আসতে হবে, বিচারের মুখোমুখি করা হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পুনর্বাসন নয়, তাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে হবে। চুপ্পু সাহেব, (রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন) এখনও সময় আছে বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় জড়িতদের বিচার ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, অতিদ্রুত ছাত্রলীগকে আইনের আওতায় না আনা হলে শহিদদের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে। ছাত্রলীগ আর আওয়ামী লীগকে আর কখনও পুনর্বাসন করতে দেয়া হবে না। সংবিধানে শপথ ভঙ্গ করে রাষ্ট্রপতি হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চাচ্ছে। যা কখনও করতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ দেশের কোনো প্রান্তে আর মাথাচাড়া দিতে পারবে না। শেখ হাসিনা নিজেকে অপরিহার্য মনে করে টিকে নাই, পুলিশও যদি অপরিহার্য ভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপোষ করে তাদেরও বিকল্প ভাবা হবে। ৫ আগস্ট যাদের কবরস্থ হয়েছে, তাদের পুনর্বাসন আর সম্ভব না।
প্রশাসন ও মিডিয়াকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, আপনারা যদি মনে করেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করবেন তাহলে ভুল ভাবছেন। ছাত্র-জনতা হাসিনার বিকল্প বেছে নিয়েছে, আপনাদের বিকল্পও বাছাই করতে দ্বিধা করবে না। অনেক মিডিয়া, যারা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের শ্রুতি-বন্দনা করে তার হাতকে শক্তিশালী করেছে, সেই ফ্যাসিস্ট মিডিয়া আবার মাথাচাড়া দিয়েছে। কলাম লিখতে শুরু করেছে। সেই শ্রুতি-বন্দনা এবং কলাম লেখা ৫ আগস্ট শেষ হয়ে গেছে। ফ্যাসিস্ট মিডিয়ারও পুনর্বাসন হবে না।
বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সানজিদা আফিয়া অদিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ, হাসিব আল ইসলাম, আব্দুল হান্নান মাসুদ, আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, রিফাত রশিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।