ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

লিটনহীন কলকাতাবধ হায়দরাবাদের

নিউজ ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:৫৯:০০ পূর্বাহ্ন | খেলাধুলা

কলকাতার ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেনে আজই (শুক্রবার) আইপিএল অভিষেক হতে পারত লিটন দাসের। কিন্তু বাড়তি বোলারের ওপর জোর দিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু সেই বোলাররাই ডোবাল কেকেআরকে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কলকাতার বোলারদের রীতিমতো শূলে চড়ালেন ব্যাটার হ্যারি ব্রুক। তার সেঞ্চুরিতে চলতি আসরে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংগ্রহ পায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রানা-রিংকুর ব্যাটে লড়াই চালালেও জয় অধরাই রইল শাহরুখ খানের দলের। টানা দুই জয়ের পর হারের মুখ দেখল কলকাতা। 

শুক্রবার সন্ধ্যার পর বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তরা মুখিয়ে ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে লিটন দাসের আইপিএল অভিষেক দেখার জন্য। কিন্তু সে আশা পূরণ হয়নি। বাংলাদেশি ব্যাটারের বদলে আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজেই আস্থা রাখে টিম ম্যানেজমেন্ট। বসিয়ে রাখা হয় ইংলিশ মারকুটে ওপেনার জেসন রয়কেও। যদিও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি গুরবাজ। লিটনকে কলকাতাও ম্যাচটা হেরেছে ২৩ রানের ব্যবধানে। হায়দরাবাদের ২২৯ রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে কলকাতার ইনিংস থেমেছে ৭ উইকেটে ২০৫ রানে। 

 

বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফেরান ভুবনেশ্বর কুমার। প্রথম ওভারের সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই মার্কো জানসেন পর পর দু’বলে ফিরিয়ে দেন বেঙ্কটেশ আয়ার (ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার) এবং সুনীল নারিনকে। মাথায় ২২৯ রানের বোঝা নিয়ে ২০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় কলকাতা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার মরিয়া চেষ্টা করেন নীতিশ রানা। উমরান মালিকের গতিকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক বাউন্ডারি মারছিলেন কলকাতা অধিনায়ক। এক ওভারেই তোলেন ২৮ রান! 

তবে অন্য প্রান্তে বল হাতে তিন উইকেট নেওয়া আন্দ্রে রাসেল ব্যাট করতে নামতেই আবারো ব্যর্থ। মাত্র তিন রান করে আউট হয়ে যান তিনি। আগের ম্যাচের মতো এ বারও কলকাতার ভরসা ছিলেন পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে নায়ক বনে যাওয়া রিংকু সিং। একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন তিনি। চালিয়ে খেলছিলেন নীতিশও। দু’জনে মিলে কলকাতাকে আশা দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের ৬৯ রানের জুটি ভেঙে দিলেন টি নটরাজন। ফুলটস বলে মারতে গিয়ে ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে ক্যাচ দেন নীতিশ। 

আমদাবাদে পাঁচ ছক্কা হাঁকানো রিংকু ইডেনেও দাপট দেখালেন। ৩১ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ততক্ষণ কলকাতার আশাও বেঁচে ছিল। শেষ দু’ওভারে ৪৮ রান প্রয়োজন ছিল। ১৯তম ওভারে নটরাজন বল করতে এসে দেন ১৬ রান। সেই ওভারে তিনটি চার মারেন রিংকু। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩২ রান। গত ম্যাচে শেষ ওভারে ২৯ রান তাড়া করে জেতা নাইট সমর্থকরা, এই ম্যাচেও আশায় বুক বাঁধছিলেন। কিন্তু উমরান শেষ ওভারে দেন মাত্র ৮ রান। শার্দূল ঠাকুরকে আউটও করেন তিনি।

 

এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই ঝড় তোলেন হায়দরাবাদের হ্যারি ব্রুক ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালের উদ্বোধনী জুটি। যদিও আগারওয়াল মাত্র ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ততক্ষণে ৪.১ ওভারে ৪৮ রান তুলে ফেলে এইডেন মার্করামের দল। ওয়ান ডাউনে নামা রাহুল ত্রিপাটিও করেন ৯ রান।
একপ্রান্তে খেলতে থাকা ব্রুক ধীরে ধীরে আগ্রাসী রূপ ধারণ করেন। তার সঙ্গে যোগ দেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক মার্করাম। মাত্র ৪৭ বলে তারা গড়েন ৭২ রানের জুটি। আন্দ্রে রাসেল, সুইয়াশ শর্মাদের বেধড়ক পেটান তারা। ৩২ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ব্রুক। মার্করাম অর্ধশতক করেন ২৫ বলে। পরের বলে রাসেলকে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন হায়দরাবাদ দলপতি।
ব্রুককে পরে সঙ্গ দেন অভিষেক শর্মা। যদিও শুরুর দিকে ধীরে খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৭ বলে ৩২ রান করে রাসেলের শিকার হন এ তারকা। সবার শেষে নামা হেনরিখ ক্লাসেন ৬ বলে খেলেন ১৬ রানের দারুণ একটি ক্যামিও ইনিংস।। ৪ উইকেটে ২২৮ রানে থামে হায়দরাবাদের ইনিংস।