শান্তিগঞ্জে গরু চুরির উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনদিন চোর চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও সরেজমিন বৃহস্পতিবার সকালে আস্তমা গ্রামে গিয়ে জানা যায়, বুধবার দিনগত রাত অনুমান ৩ ঘটিকার সময় উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের আস্তমা বড় বাড়ীর মৃত হাফিজ ছদরুননুরের ছেলে রইছ মিয়ার ৪ টি গরু গোয়াল ঘর থেকে সংঘবদ্ধ চুরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। চুরের উপস্থিতি বুঝতে পেরে রইছ মিয়া স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবকে ফোন করে মাইকিং করার জন্য বলেন। তখন তাৎক্ষণিকভাবে আস্তমা গ্রাম সহ পার্শবর্তী কয়েকটি মসজিদে মাইকিং হলে এবং গ্রামের লোকজন চতুর্দিকে বেরিয়ে পড়লে সংঘবদ্ধ চুরেরা কামরুপদলং মাদ্রাসার সামনে ২ টি গরু,কামরুপদলং কান্দির উত্তর পাশে ১ টি এবং নাইন্দা নদীর পাশে ১ টি গরু ফেলে পালিয়ে যায় চুরেরা। বিগত কয়েকদিন আগে সদরপুর গ্রামের মুনসুর আলীর ৩,আব্দুল হান্নানের ১ টি, ওয়াহিদ আলীর ২ টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চুরেরা। অনেক খোঁজাখোঁজির পরও গরুগুলো উদ্ধার করতে পারেনি তারা। এছাড়া গত কয়েকদিন আগে সুলতানপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী অন্ধ মহিলার ১ টি গাভী চুরি করে নিয়ে যায় চুরেরা। কয়েকদিন পর ঐ মহিলা স্থানীয় জাউয়া বাজার ভিক্ষা করতে গেলে চুরচক্র বাজারে তুলে গাভীটি বিক্রি করার জন্য তখন গাভীটি ঐ অন্ধ মহিলাকে দেখামাত্র উনার পাশে চলে আসে চুরেরা কোনভাবেই গাভীটিকে নিতে পারছিলনা তখন স্থানীয়দের সহযোগিতায় গাভীটিকে মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে অন্ধ মহিলা জানান,আমার খুব সখের গাভীটি চুরি হওয়ার পর অনেক খোঁজাখোঁজি করেছি কিন্তু পাইনি। হঠাৎ করে বাজারে ভিক্ষা করতে গিয়ে গাভীটিকে অলৌকিকভাবে পেয়ে বাড়িতে আনার পর আল্লাহর রাস্তায় কুরবান দিয়েছি।
গরু চুরির উপদ্রব বাড়ায় এবং চুরচক্র সক্রিয় হওয়ায় এলাকার মুনসুর আলম,ওয়াহিদ আলী সহ অনেকেই জানান,গরুগুলো চুরি হওয়ায় আমাদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অভিযান চালিয়ে গরুচোর চক্রের সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তারা। না হলে দিনদিন গরুচুরি বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরী জানান,খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।