সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের চেচারকোনা মৌজার আস্তমা গ্রামের তীরবর্তী নাইন্দা নদী উন্মুক্ত রাখার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আস্তমা গ্রামবাসীর গণস্বাক্ষর সম্ভলিত স্বারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার উজ জামানের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেন আস্তমা গ্রামের অর্ধশতাধিক মানুষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গ্রামের আরিছ আলী, বদরুজ্জামান, নাছির উদ্দীন, মশাহিদ মিয়া, লেখন্দর, সাজ্জাদুর রহমান, আব্দুল্লাহ মিয়া, আরিফ উদ্দিন, তফজ্জুল, জমিল হক, রুহেল মিয়া, নাছির উদ্দীন, আব্দুল আহাদ, ফজল হক, হায়দর আলী, মছরব আলী সহ প্রমূখ।
আস্তমা গ্রামের নাছির উদ্দীন, আরিছ আলী ও বদরুজ্জামান বলেন, এই নদীর পানি আমাদের গ্রামের সকল ব্যবহার করে আসছেন দীর্ঘকাল ধরে, আমরা আমাদের গবাদিপশু ও নিজেরা গোসল করি, কৃষি জমিতে পানি স্বেচ করি, সেই সাথে গ্রামের অসংখ্য ছোট ছোট হাসের খামারের হাস এই পানিতেই লালন পালন করি। কয়েদিন ধরে একটি মৎস্য খেকু চক্র এই নদীটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ইজারা নেওয়ার জন্য পায়তারা করে আসছে। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের কাছে এই নদীটি যে ভাবে যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় রাখার দাবিতে আজ সমগ্র গ্রামের খেটেখাওয়া মানুষজন এসে স্বারকলিপি দিয়েছি। সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি এই খালটি যেন ইজারা প্রদান না করা হয়ে। তারা আরও বলেন, আমাদের গ্রামের মানুষের অবাদ পানি ব্যবহারের একমত্র খাল এই নাইন্দা নদী। এটি ইজারা দেওয়া হলে অবাদে পানি ব্যবহারের আর কোন কিছু থাকবে না। গ্রামের দেখার উত্তর পাশে দেখার হাওরের প্রতি ডুবা ও বিল সরকারি ভাবে ইজারা দেওয়ার ফলে এই বিল ও ডুবায় গ্রামের সাধারণ মানুষ নামতে পারেন না, তাদের গবাদিপশু ও খামারের হাস ও সাধারণ জেলেরা মাছ ধরতে পারেন না। আমাদের একমাত্র খালটি যেন ইজারা প্রদান না করা হয়ে সেই জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার উজ জামান জানান, আস্তমা গ্রামের অনেক মানুষ আমার কাছে একটি লিখিত আবেদন দিয়ে গেছেন। নাইন্দা নদীর আস্তমা গ্রামের অংশটি জনস্বার্থে উন্মুক্ত রাখার বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।