বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিকেল সাড়ে তিনটায় গুলশানের বাসা থেকে তিনি অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। এটি তার ২০১৮ সালের পর প্রথম কোনো প্রকাশ্য কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ। সর্বশেষ তিনি ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট সফরে গিয়েছিলেন। এর আগে সর্বশেষ ২০০৯ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে সেনাকুঞ্জে যোগ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী এবিএম আব্দুস সাত্তার গতকাল বুধবার এ তথ্য জানান।
এ বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম তারেক রহমানকে এমন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলো।
মোট ২৬ জন বিএনপি নেতাকে এবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, এবং দলের বিভিন্ন পদে থাকা বিভিন্ন পদমর্যাদার সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা। আগে এত বড় পরিসরে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর নজির নেই।
মঙ্গলবার রাতে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ জানায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। ওই রাতে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এস এম কামরুল আহসান খালেদা জিয়ার বাসভবনে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির ২৬ সিনিয়র নেতার আমন্ত্রণপত্র গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়। আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেন চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার।
সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করেছে। সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বিএনপির নেতাদের ব্যাপক উপস্থিতি রাজনৈতিক মহলেও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
বায়ান্ন/এএস/একে