ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন কামাল

সিলেট ব্যুরো: | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৮ এপ্রিল ২০২২ ০৩:৩৩:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে দলটির নিবেদিত প্রাণ কামাল উদ্দিন রাসেলকে। ওই পদে মনোনীত করায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কামাল উদ্দিন রাসেল। ফেইসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি ওই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।  

 

কামাল উদ্দিন রাসেল বলেছেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত করায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন পিপিসহ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দীন খানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মুজিবীয় শুভেচ্ছা জানাই।

 

তিনি বলেন, ‘আমার প্রানপ্রিয় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল নেতা কর্মী এবং দেশ বিদেশে সকল বন্ধু বান্ধব রাজনৈতিক সহকর্মী বৃন্দ। আমি পারিবারিকভাবে স্বাধীনতার স্বপক্ষের সংগঠন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া উপমহাদেশের প্রাচীনতম সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন খুবই সাধারণ কর্মী হিসেবে এই সিলেট তথা দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মানুষের কল্যাণ কাজ করে যাচ্ছি। আমার মরহুম পিতা হাজি মহরম আলী ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন সংগঠক ছিলেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী আমার বাবাকে জীবিত বা মৃত ধরে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। সেই সময় আমার বাবাকে এবং আমাদেরকে বাড়িতে না পেয়ে আমাদের বাড়িঘর পাকিস্তানী বাহিনী জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর খন্দকার মোস্তাক ও পরবর্তীতে স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে আমার বাবাকে অসংখ্যবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আমার পুরো পরিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।‘

 

তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট জেলার তৎক্ষালীন সভাপতি মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ ভাই ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন চাচার হাত ধরে সাউথ সুরমা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সাউথ সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে তৎকালীন মধুবন আন্দোলনসহ সিলেট বিভাগের সকল আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করি। পরবর্তীতে বৃহত্তর সদর থানা আওয়ামী যুবলীগ এর দপ্তর সম্পাদক হিসেবে যুবলীগের রাজনীতিতে তৎকালীন সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি ও পরবর্তীতে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ইফতেখার হোসেন শামীম ভাইয়ের হাত ধরে যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হই। আমি দক্ষিণ সুরমা থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং পরবর্তীতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হই।‘

 

তিনি বলেন, ‘গতকাল ১৬ এপ্রিল দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক ঘোষিত হলে আমি দেখতে পাই এই কমিটিতে আমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক ১ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। আমি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতের সম্মানিত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন চাচা ও নান্দনিক দক্ষিণ সুরমা ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ সংসদীয় আসনের সাংসদ হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি সহ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ শফিকুর রহমান সাধারণ, সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দীন খান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আহমদসহ যাহারা আমাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করেছেন, আমি তাদের সকলের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে কখনো কারো কাছে কোনো কমিটিতে পাদ পদবির জন্য তদবির করিনি এবং ভবিষ্যতেও করবো না। আমি সবসময় আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করে যেতে চাই, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী এটাই আমার বড়ো পরিচয়। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হউক মেহনতী মানুষের। আমার এই সংবাদ পেয়ে আমার যেসকল বন্ধু বান্ধব আমার ছবি দিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন আমি আপনাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।