ওলিকুল শিরোমণি হজরত শাহজালালের (র.) ওরস শুরু হয়েছে শুক্রবার (৯ জুন)।
দুই দিনব্যাপী ওরসকে ঘিরে হজরত শাহজালালের (রহ.) দরগাহ এলাকায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
দলবেঁধে আসা দেশ-বিদেশের ভক্তদের হাতে রয়েছে বাহারি গিলাফ। আর মুখে মুখে উচ্চারণ ‘লালে লাল– বাবা শাহজালাল’!
শান্তিপূর্ণভাবে ওরস সম্পন্ন করতে প্রশাসন এবং মাজার কর্তৃপক্ষ নিয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। ওরসের সার্বিক নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। দরগাহ এলাকায় বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা এবং মাজারের প্রত্যেকটি প্রবেশ দ্বারে বাড়ানো হয়েছে বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তা। পুলিশ ও মাজার-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, প্রতিবছর আরবি মাসের ১৯ ও ২০ জিলকদ দুই দিনব্যাপী হজরত শাহজালালের (র.) ওরস অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে পশু জবাই করার মধ্য দিয়ে ওরসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ঐতিহাসিক গিলাফ ছড়ানোর মাধ্যমে ওরস কার্যক্রমের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে শাহজালাল (রহ.) দরগাহ কর্তৃপক্ষ। শনিবার ভোররাতে অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত, এরপর শিরনি বিতরণের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়ে দুইদিন ব্যাপী এই ওরসের কার্যক্রম।
ওরস উপলক্ষে ভক্ত-আশেকানরা শতাধিক গরু ও খাসি এসেছেন নজরানা হিসাবে। সারাদেশ থেকে আসা ভক্ত-আশেকানদের মধ্যে শিরনি বিতরণের জন্য পশুগুলো জবাই করা হয়। এই সময়ে ভক্তরা জিকির ও এবাদত বন্দেগির মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করবেন।
উল্লেখ্য, ইসলাম প্রচারের জন্য হযরত শাহজালাল (রহ.) ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে ৩৬০ সফরসঙ্গী নিয়ে সিলেট আসেন। ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জিলকদ তিনি ইন্তেকাল করেন। সিলেটে তিনি যে টিলায় বসবাস করতেন, সেখানেই তাকে দাফন করা হয়। তার কবরকে ঘিরেই পরে গড়ে উঠেছে মাজার।