ঢাকা, শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হাঁটু ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ০১:০৫:০০ অপরাহ্ন | স্বাস্থ্য

হাঁটু ব্যথা দেখা দিলে তা অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ এই ব্যথার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ঘটে ব্যঘাত। তখন হাঁটাচলাও কষ্টকর হয়ে ওঠে। যাদের ওজন কিছুটা বেশি, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এছাড়া নির্দিষ্ট বয়সের পরে আমাদের হাঁড়ের ক্ষয় হতে শুরু করে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়। তাই হাঁটু ব্যথা দেখা দিলে শুরুতেই সচেতন হতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক হাঁটু ব্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায়-

নিয়মিত শরীরচর্চা 

শরীরচর্চা বা ব্যায়াম আপনাকে অনেক অসুখ থেকে দূরে রাখতে পারে। সেজন্য আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। আমেরিকান কলেজ অব রিউম্যাটোলিজ অ্যান্ড দ্য আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন জানাচ্ছে, হাঁটু ব্যথা দূর করার জন্য কিছু ব্যায়াম দারুণ কার্যকরী। এক্ষেত্রে হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার, তাই চি, ইয়োগা ইত্যাদি ব্যায়াম বেশ কার্যকরী। ব্যায়ামের জন্য প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যয় করতে হবে।

 

স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ

মেডিক্যাল নিউজ টুডে অনুসারে, নিয়মিত ব্যায়াম করলে পায়ের পেশি ও হাড় শক্তিশালী হয়। এক্ষেত্রে স্কোয়াট, লেগ রেইজসহ নানা ধরনের এক্সারসাইজ করা দরকারি। এতে হাঁটু ব্যথা থেকে তো বাঁচবেন, সেইসঙ্গে দূরে থাকবে আরও অনেক অসুখ। 

কমাতে হবে ওজন

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কারণ বাড়তি ওজন ডেকে আনে বাড়তি অসুখও। হাঁটুর ব্যথা তার মধ্যে অন্যতম। ওজন বেশি হলে শরীরের ভার তার উপরে গিয়ে পড়ে। ফলে হাঁটুর ব্যথা আরও বাড়তে থাকে। তাই এক্ষেত্রে ওজন কমানো অন্যতম কার্যকরী উপায়। ডায়েটে পরিবর্তন ও শরীরচর্চার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমানো সম্ভব।

সঠিক খাবার খান

বাইরের সব ধরনের খাবার বাদ দিন। চেষ্টা করুন ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার। সেইসঙ্গে এড়িয়ে যাবেন ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত মসলাদার খাবার। খাবারের তালিকায় রাখুন তাজা ফল ও সবজি। এ ধরনের খাবারে থাকা ফাইবারসহ নানা পুষ্টি উপাদান শরীর সুস্থ রাখে। ফলে দূরে থাকে নানা অসুখ।

স্ট্রেচিং করতে হবে

হাঁটু ব্যথা দূর করার ক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে স্ট্রেচিং। সেজন্য প্রতিদিন পায়ের স্ট্রেচিং করুন। এতে খুব সহজেই হাঁটুর ব্যথা দূর করা সম্ভব হবে। হাঁটুর ব্যথা হলে শুরুতেই এ ধরনের নিয়মগুলো মেনে চলুন। এতে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। যদি এরপরও না কমে তবে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।