দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজের বাজারে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে দেশীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ছয় টাকা। মাঘের শীতে গত দুই দিনের টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের বাজারে এখান পেঁয়াজ বিক্রেতারা। হঠাৎ করে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। সরবরাহ কম থাকার কারণে দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে হিলি বাজারের পাইকারী ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি আড়তে কমেছে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ। সরবরাহ কমার কারণে দুই দিনের ব্যবধানে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ বর্তমানে ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে পেঁয়াজ কিনতে এসে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা গৃহবধূ নার্গিস পারভীন বলেন, মাত্র দুই দিনে দেশী পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ছয় টাকা। আজ পেঁয়াজ কিনতে এসে বিপাকে পড়েছি। শেষে প্রয়োজনের তুলনায় কম করে কিনলাম। গত বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাটের দিনে পেঁয়াজ কিনেছি ২২ টাকা কেজি। আজ সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা কেজি।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে হিলির বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। আমি দুই দিন আগে ২২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ এসে দাম শুনি ২৮ টাকা কেজি। একে তো বৃষ্টির কারণে গত দুই দিন থেকে কোনো কাজ করতে পারছি না তার ওপর এভাবে দাম বাড়লে আমরা কীভাবে চলবো।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু রায়হান বলেন, বর্তমানে হিলির বাজারে কোনো ভারতীয় পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। আর বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ এর চাহিদাও কম। তাই দেশীয় পেঁয়াজ দিয়ে আমরা ব্যবসা করছি। বৃষ্টির কারণে দুই দিন থেকে পেঁয়াজের আড়ৎগুলোতে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে দাম কিছুটা বাড়ছে। সরবরাহ বাড়লে দাম আবারো কমে আসবে। হঠাৎ দাম বাড়ার কারণে ক্রেতার সাথে বেশি কথা বলতে হচ্ছে এবং বেচা-কেনাও কমে গেছে।
