
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে মহিলাদের গোসলের ভিডিও ধারণ করার সময় বাঁধা দিলে হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকারের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর জগদানন্দ গ্রামে ফাতেমার বাপের বাড়ি, রিপনের বাড়ি ও মাসুদের বাড়িতে এ ড্রোন উড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। পরে ড্রোন উড়ানোর জেরধরে সেলিমের বাড়ির সামনে হামলার ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঘটনার ২/৩ দিন আগে হামলাকারীরা ঢাকা থেকে নিজ এলাকায় আসে। আসার সময় ঢাকা থেকে একটি ড্রোন ক্যামেরা সঙ্গে এনে তাদের বাড়ির পাশের একটি কৃষি জমিতে বসে কয়েকজন মিলে ড্রোন ক্যামেরাটি আকাশে উড়িয়ে আশপাশের বাড়ি গুলোতে নজরদারি করার সময় বাড়ি গুলোর মহিলারা পুকুরঘাটে গোসল করাকালে ও অগোছালো ভাবে বাড়ির কাজ করার সময় ড্রোন ক্যামেরাটি তাদের গোসল ও অগোছালো অবস্থায় ভিডিও ধারণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ড্রোন ক্যামেরাটি ধরতে গেলে তা রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সেখান থেকে সরিয়ে নেয় স্থানীয় সেলিমের ছেলেসহ তার বন্ধুরা।
পরবর্তীতে মহিলাদের চিল্লাপাল্লাতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সাইফুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন এবং আনোয়ার হোসেন মনজুর পিতা সেলিমের নিকট নালিশ করতে গেলে সেখানে উপস্থিত সাইফুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন এবং আনোয়ার হোসেন মনজুসহ তাদের ঢাকা থেকে আগত বন্ধুরা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
এসময় ভুক্তভোগী পরিবারের ৫/৭জন লোক আহত হয়। হামলাকারীদেরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেন হামলাকারীরা। পরে হামলাকারীরা নিজেদেরকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসারত দেখিয়ে ও গুরত্বর আহত দাবি করে কবিরহাট থানায় একটি মামলা দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসি।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, এলাকাতে দীর্ঘদিন ধরে এই বখাটে ছেলেরা বিভিন্ন প্রকারের মাদকের সাথে জড়িত রয়েছে। প্রায় সময় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সময় হয়রানি করতেন। এখন ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে যেইভাবে মহিলাদের গোসলের ভিডিও ধারন করছে, একেবারে মানার মত না। উল্টো এই বখাটে ছেলেরা এদের উপর হামলা চালায় এবং শেষে এদের বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
আমরা চাই প্রসাশন যেনো অতি দ্রুত সুস্থ তদন্ত করে এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা করে এবং ভুক্তভোগীদের উপর করা মিথ্যা মামলাটি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
অভিযোগের বিষয় জানতে অভিযুক্ত মনজু মুঠোফোনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ড্রোন ক্যামেরার ঘটনা সঠিক নয়, তবে মারামারির ঘটনায় দু'পক্ষের লোকজনই আহত হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা শিকার করে কবিরহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এ ঘটনায় একটি মারামারির মামলা হয়েছে, যা তদন্তাধীন রয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে এ কর্মকর্তা জানান, সরজমিন তদন্তকালে এলাকার লোকজনদের কাছে জানতে পারেন ড্রোন ক্যামেরা উড়ানোর প্রতিবাদ করায় এমন হামলার ঘটনা ঘটেছে।