বানিয়াচং উপজেলার পৈলারকান্দি ইউনিয়ন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়ন এবং মিঠামইন উপজেলার কাঠখাল ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করছে।
এসব গ্রামের জনসাধারণ পৈলারকান্দি ইউনিয়নের কুমড়ি নামে বাজারের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বাজারে যাওয়ার জন্য ফিরিঙ্গিটোলা সেতুটি চলাচলের জন্য অনিরাপদ হয়ে আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, মানুষ দৈনন্দিন কেনাকাটার জন্য কুমড়ি বাজারে যাতায়াত করে। বাজারের উত্তর দিকে খালের ওপর রয়েছে ফিরিঙ্গিটোলা সেতু। সেতুটি বহু বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেতুটি নতুন করে নির্মাণ না করলে যে কোনো সময় ভেঙে যেতে পারে।
ওই এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির বলেন, সেতুটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। বাজারের দক্ষিণ দিকের সড়কটির অবস্থাও খারাপ।
জামাল আহমেদ বলেন, ‘যোগাযোগের দিক থেকে আমরা এখনও অনেক অনুন্নত রয়ে গেছি। সেতুটি পুনর্নির্মাণ না করলে আমরা বেকায়দায় পড়ে যাব।’
বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমিন জানান, ফিরিঙ্গিটোলা সেতু যে কোনো সময় ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে সেতুটির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
বানিয়াচং উপজেলা প্রকৌশলী মিনারুল ইসলাম বলেন, ‘কুমড়ি বাজারের সেতুসহ বেশ কয়েকটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।’