ঢাকায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন অনুমোদনহীন দোকান ও গুদাম ঘরের তালিকা চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নির্মিত ভবনের বেজমেন্টে অনুমোদনহীন দোকান ও গুদামঘর গড়ে তোলার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার অভিযানও চালায় দুদক। এ সময় রাজউকের কাছে অনুমোদনহীন দোকান ও গুদাম ঘরের তালিকা সরবরাহের অনুরোধ করে সংস্থাটির এনফোর্সমেন্ট টিম।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সংস্থাটির (জনসংযোগ) কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় নির্মিত ভবনের বেজমেন্টে অনুমোদনহীন দোকান ও গুদামঘর গড়ে তোলার অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিম রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ শাখার সহকারী অথরাইজড অফিসারের সঙ্গে কথা বলে ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে অনুমোদনহীন গুদাম ও দোকানের তালিকা পায়নি দুদক টিম। রাজউক থেকে তাদের জানিয়েছে, এ বিষয়ে তাদের জরিপ চলমান আছে। দুদক টিম অভিযানকালে সার্ভে সম্পর্কিত বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয় এবং তালিকা পরবর্তীতে পাঠানোর নির্দেশনা দেয়।
অন্যদিকে সোমবার মাদারীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নতুন পাসপোর্ট প্রদান, পাসপোর্ট নবায়ন সেবা প্রদানে দালালদের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের মাদারীপুর থেকে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে নতুন পাসপোর্ট প্রদান এবং পাসপোর্ট নবায়নে সরকার নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত ফি গ্রহণে সরাসরি দালালদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। টিম মাদারীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালককে দালালদের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য যাবতীয় নির্দেশ প্রদান করেন।
একই সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বরত এক হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে দালালদের সঙ্গে যোগসাজশের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে বদলির সুপারিশ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে দুদক।