আন্দোলনরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে অবরুদ্ধ ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমদকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সন্ধ্যারাত সোয়া ৬টার দিকে আইআইসিটি ভবন থেকে ভিসিকে উদ্ধার করে বাসভবনে পৌঁছে দেয় পুলিশ।
রোববার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে এ্যাকশনে নামে পুলিশ। ক্যাম্পাস সূত্র জানায় সন্ধ্যার পূর্ব পর্যন্ত শাবি প্রশাসনের সাথে আান্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনা শুরু হয়। সন্ধ্যা নেমে আসার পরপরই আলোচনারত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা শুরু করে পুলিশ। লাঠিচার্জসহ ব্যাপক টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলিশ বর্ষণ করা হয়। হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন শিক্ষার্থীসহ চার পুলিশ আহত হয়েছেন।
রোববার বিকাল চারটায় ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ করে। এর পরপরই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা উত্তেজনাকর স্লোগান দিতে শুরু করে। ভিসিকে ধাওয়ার পরপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ ডাকা হয় বলে ক্যাম্পাস সূত্র জানিয়েছে।
এদিন বিকেল তিনটায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে ধাওয়া করে অবরুদ্ধ করে রাখে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুরে উপাচার্য নিজ কার্যালয় থেকে বাসভবনে যাবার পথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।
তাঁকে শিক্ষার্থীরা ধাওয়া করলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে আশ্রয় নেন। পরে সেই ভবনের কলাপসিবল গেইট আটকে দিয়ে উপাচার্যকে ভিতরে অবরুদ্ধ করে রেখেছেনআন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবিসহ তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার রাত সাড়ে বারোটায় তাদের এ সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের গোলচত্বর থেকে একটি মশাল মিছিল বের করে। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে ঘুরে দ্বিতীয় ছাত্রী হলের সামনে এসে শেষ
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীরের উপস্থিতিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়ায় আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি। আমাদের দাবি মেনে নেয়ার আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি। রোববার সকাল আটটা থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কার্যক্রম শুরু হয়।