সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাত বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাজাও স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার মো. জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, ও অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন।
২০০৯ সালে সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে খালাস দিলেও মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে, ২০১৬ সালে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন। এটি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রথম দণ্ডাদেশ হিসেবে উল্লেখযোগ্য।
হাইকোর্টের রায়ের পর, আপিল বিভাগে সাজা স্থগিতের আবেদন করেন তারেক রহমান। আপিল বিভাগ মঙ্গলবার এই আবেদন গ্রহণ করে রায় স্থগিতের আদেশ দেন।
আইনজীবীরা এই রায়কে আইনের জয় হিসেবে দেখছেন। তবে দুদক এ বিষয়ে পুনরায় আপিল করার ইঙ্গিত দিয়েছে।
এ রায় তারেক রহমানের আইনি লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। একই সঙ্গে মামুনের সাজা স্থগিতও মামলা সংশ্লিষ্টদের জন্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বায়ান্ন/এসএ