১০৬ জন প্রবাসীকে জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটার করার অপচেষ্টা প্রমানিত হওয়ায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ডেটা এট্রি অপারেটরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই দুই জনের বিরদ্ধে বিভাগীয় মামলায় তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এনআইডি উইং মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলায় স্থানীয়দের বায়োমেট্রিক নিয়ে ১০৬ জন বাংলাদেশি প্রবাসীকে ভোটার করার অপেচষ্টা করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করতে ঢাকা থেকে এনআইডি উইং এর একটি তদন্ত দল জগন্নাথপুরে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছে। অনিয়মে জড়িত দুজন হলেন- উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ও নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের।
তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে এনআইড ডিজি বলেন, এরপরই বিভাগীয় ব্যব্স্থা নিতে মামলা করা হয়েছে। তারা গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে উপস্থাপন করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, এ এলাকায় ১০৬ জনকে ভোটার করার অপচেষ্টা করা হয়েছে, যারা বাংলাদেশি নাগরিক হলেও প্রবাসে থাকেন। স্থানীয় অনেকের বায়োমেট্রিক ও আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অনিয়ম সণাক্ত করা হয়েছে।
এ সব নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হলেও বিদেশে থাকা লোকের পরিবর্তে অন্যের আঙ্গুলের ছাপ ও বায়োমেট্রিক নেওয়ায় তারা শেষ পযন্ত ভোটার হতে পারত না বলে জানান তিনি।
যে কোনো ধরনের অনিয়মের বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দেন এনআইডি ডিজি।
এ সময় এনআইডি ডিজি উল্লেখ করেন, সোমবার পর্যন্ত ১৭ লাখ ৭ হাজার ৫৭০ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, আমাদের তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন।
এ কাজের দেশবাসির সহযোগিতা চেয়েছেন এনআইডি ডিজি।
২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারী কোনো নাগরিক কোনো কারণে বাদ পড়লে নির্ভুল তথ্য ও কাগজপত্র দিয়ে ভোটার হতে হয়।
তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ছবি তুলে নিবন্ধন সম্পন্নের কাজ শুরু হবে, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন ইতোমধ্যে বলেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এনআইডি উইং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসনানুজ্জামান, তকদিন আহমেদ, ইসির জনসংযোগ পরিচালক শরিফুল আলম ও সহকারী পরিচালক আশাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বায়ান্ন/এমএমএল/পিএইচ
