ঢাকা, বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১

অসন্তোষ নিয়ে কোচের দায়িত্ব ছাড়ছেন ছোটন

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ ০৬:৩৪:০০ অপরাহ্ন | খেলাধুলা

শুক্রবার ছুটির দিনে দেশের ফুটবলাঙ্গনে হঠাৎ অস্থিরতা। একদিকে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে তিনটি ম্যাচ চলছে। তবে সব ছাপিয়ে আলোচনায় ছিল সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য সিরাত জাহান স্বপ্নার হঠাৎ করেই ফুটবল থেকে অবসরের খবর। এর কিছুক্ষণ পরেই তাদের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের বাফুফে ছাড়ার খবর নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

প্রায় এক দশক নারী ফুটবল নিয়ে কাজ করছেন ছোটন। জাতীয় দলসহ, অনূর্ধ্ব সব দলকেই তিনি প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে অনেকটাই ক্লান্ত ছোটন, ‘গত কয়েক বছর অসম্ভব পরিশ্রম করেছি। সেই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েকটি দলকে পর্যায়ক্রমে অনুশীলন করিয়েছি। শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক থেকে আমার বিশ্রাম দরকার। এখন বয়সও হয়েছে। পরিবারকেও সময় দেওয়া দরকার। তাই বাফুফের দায়িত্ব ছাড়তে চাই’।

আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লান্তির কথা বললেও ছোটনের মনে রয়েছে অসন্তোষ ও অপ্রাপ্তি। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাফল্যের অন্যতম কারিগর গোলাম রব্বানী ছোটন। তার হাত ধরেই সাফ ট্রফিসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছে নারী দল। এত কিছু জিতলেও তার সঠিক মূল্যায়ন সেভাবে হয়নি। আর্থিক পারিশ্রমিকের পাশাপাশি আরো কয়েকটি বিষয়েও তার অসন্তুষ্টি রয়েছে।

বাফুফে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও এখনো এই বিষয়ে কর্মকর্তাদের কিছু বলেননি। বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণকে ছোটনের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তার কাছে এমন তথ্য নেই বলে জানান।

ছোটন নারী দলের কোচিং করানোর আগে বাফুফের এএফসি’র বেতনভুক্ত কোচ ছিলেন। ফুটবলার হিসেবে অবসর নেওয়ার পর কোচিংই তার পেশা। এই আয় থেকেই তার পারিবারিক ব্যয় নির্বাহ হয়। বিশ্রামের পর আবার কোচিংয়ে ফিরতে চান, ‘আপাতত পরিকল্পনা মাস দুয়েক বিশ্রাম নেওয়ার। এরপর হয়তো কোনো ক্লাব বা কিছুতে কোচিংয়ে ফিরতে পারি’।

আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লান্তির কথা বললেও ছোটনের মনে রয়েছে অসন্তোষ ও অপ্রাপ্তি। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাফল্যের অন্যতম কারিগর গোলাম রব্বানী ছোটন। তার হাত ধরেই সাফ ট্রফিসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছে নারী দল। এত কিছু জিতলেও তার সঠিক মূল্যায়ন সেভাবে হয়নি। আর্থিক পারিশ্রমিকের পাশাপাশি আরো কয়েকটি বিষয়েও তার অসন্তুষ্টি রয়েছে।

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে ছোটন হেড কোচ হলেও চাবিকাঠি মূলত ব্রিটিশ ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলির হাতে। ছোটন অনেক পরিশ্রম করলেও লাখ খানেক সম্মানী পান। অন্যদিকে পল স্মলি পেতেন ১৫ হাজার ডলার। সেই পল কাজের পরিবেশ নেই বলে ছেড়ে যাওয়ার কথা বলে আরো পাঁচ হাজার ডলার বেতন বাড়িয়ে নিলেও ছোটনদের দিকে তেমন নজর নেই বাফুফের। গত মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের নারী দলের প্রস্তাব ছিল ছোটনের। জাতীয় দলের চেয়ে অনেক বেশি অর্থের প্রস্তাব থাকলেও বাফুফে কর্তাদের আশ্বাসে তিনি সেখানে যোগ দেননি।