কোটা সংস্কারের দাবিতে হওয়া আন্দোলনের সময় সহিংসতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ১২৪ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন আছেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)।
হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি বলেছেন, আহতদের মধ্যে যারা আইসিইউতে আছেন, তাদের বর্তমান অবস্থা শঙ্কামুক্ত, এমনটি বলা যাচ্ছে না।
রোববার (২৮ জুলাই) বিকেলে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, গত কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনায় হাজারের বেশি মানুষ ঢামেক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে থেকে অনেকেই ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। ধারাবাহিকভাবে অনেকেই সুস্থ হলে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
আইসিইউতে ১৫ জনসহ হাসপাতালে ১২৪ রোগী ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে নয়জন শিক্ষার্থী।
এক প্রশ্নের জবাবে ঢামেক পরিচালক বলেন, গত শুক্রবার হাসপাতালের দুটি ওয়ার্ডে গিয়ে অন্তত ৪০ জন রোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিটি রোগী বিছানায় গিয়ে তিনি খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দলমত নির্বিশেষে সব রোগীদের চিকিৎসা ও সব ওষুধ যেন হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় সে নির্দেশনা দেন।
তিনি জানান, রোগী ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে তাদের হাসপাতাল থেকে ওষুধ দেওয়া হয়। কিছু ওষুধ না থাকায় সেগুলো বাইরে থেকে রোগীদের কিনতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশনায় এখন সব ওষুধ রোগীদের দেওয়া হচ্ছে। তারা যেন বাইরে থেকে কোনো ওষুধ না কেনেন, সে নির্দেশনা হাসপাতালের নার্স ও ইনচার্জদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।