হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র কওে দু'দল গ্রামবাসীর মধ্যে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে আটক করা হয় এবং পুলিশ বাদী হয়ে আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে এই ঘঠনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতদেরকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, পিরোজপুর গ্রামের মৃত লাল মাহমুদ মিয়ার ছেলে মুহিত মিয়া ও গুলজার মিয়ার ছেলে জিয়াউর মিয়ার মধ্যে গ্রমীণ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিগত কয়েক বছর যাবত বিরোধ চলছে । এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসানের মধ্যস্থতায় শালিসের মাধ্যমে দুই গ্রুপের বিরোধ সমাধানের কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে জিয়াউর রহমানের গ্রুপের রনি (১৭) ধানের চারা ক্ষেতে গেলে অপর গ্রুপের তজিমুল মিয়ার ছেলের সঙ্গে বাকবিতন্ডা শুরু হয় । বাকবিতন্ডার বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িযে পড়ে। এসময় দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়র ঘঠনা ঘটে।
খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘঠনাস্থলে গিয়ে পাঁচ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে আহত জাহিদ হাসান বিপ্লব, সাজু মিয়া, তজুমুল, রাশেদ মিয়া, রিমন, পলাশ, রাকিব, নেকবর, রবি, রাসেল, তুষার, অনিক, গোলাম নবী, মামুন, হাসান, আকছির, সহিদুল ইসলাম, জুবায়েল, গোলাম মৌলা, পিঙ্কি আক্তার, পারভেজকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ইছাবুর, তুষার, আরিফ, মুরাদকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া আজমিরীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন, ভূপেন্দ্র চন্দ্র বর্মন, কনেস্টবল অপু দত্ত, রাজিব দত্ত, মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, খলিলুর রহমান, আব্দুর রহমান, আব্দুস সামাদ ও জহির উদ্দিনকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী জানান, পিরোজপুর গ্রামের দুটি গ্রুপের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তাার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । পাঁচ রাউন্ড টিয়াারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় । পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। উভয় পক্ষের ১০ জনকে আটক করা হয়েছে এবং আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে।