বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেশের সংকট সমাধানে দ্রুত একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, “আমরা অপেক্ষা করতে রাজি আছি। সংস্কারের জন্য অপেক্ষা করব। কিন্তু যুগ যুগ ধরে এভাবে চলতে পারে না। আজকের অর্থনৈতিক অবস্থা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং মানুষের অসহনীয় জীবনযাপন এটাই প্রমাণ করে যে নির্বাচিত সরকারের অনুপস্থিতিতে দেশের কোনো সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না।”
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, “এ দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। ভোটের কথা বললেই অনেকে মুখ বাকা করে। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, আমাদের নেতা তারেক রহমানও জানতে চান, আমাদের আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? একটি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান জরুরি।”
সম্প্রতি একজন উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, “তিনি বলেছেন, ৫৩ বছরে রাজনৈতিক নেতারা কী করেছেন। আমি বলব, একজন রাজনীতিক একদিনে তৈরি হন না। তাই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে মন্তব্য করার আগে দয়া করে সন্মানের সঙ্গে কথা বলুন। রাজনীতি একটি দীর্ঘমেয়াদি সংগ্রামের ফসল।”
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দলের নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, “আজকের এই দিনে আমি আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আমাদের নেতা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।”
বিজয় দিবস উপলক্ষে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে এ সময় দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মাসুদ আহমেদ তালুকদার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, কামরুজ্জামান রতন, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুল আলম নিরব, আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিন এবং যুবদলের আবদুল মোনায়েম মুন্না। অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিজয় দিবসে বিএনপির নেতৃত্বে বিশাল শোভাযাত্রা এবং জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে দলের বর্তমান অবস্থান ও রাজনৈতিক চাহিদা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। বিশেষ করে সরকারের প্রতি রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান এবং জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের দাবি এই আয়োজনে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
বায়ান্ন/আরএইচ/এএস/একে