ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সাংবাদিক সমিতি ও প্রেসক্লাবে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির প্রেসকর্ণারের কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও আমার দেশ পত্রিকার নগর সম্পাদক এম. আব্দুল্লাহ, এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ড. মেজর আব্দুল ওয়াহাব মিনার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজমুল হক জায়েম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব রিফাত, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন রেদোয়ান, দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হুসাইন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট প্রমুখ সহ আরও অনেকে।
এ সময় ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, এক অভূতপূর্ব ঐতিহাসিক ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের কাঁধে চেপে বসা জালেমশাহীর পতন ঘটেছে। দুটো লক্ষ্যে ছাত্র জনতার আন্দোলন হয়েছিলো। প্রথম লক্ষ্য ছিলো ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন ঘটানো। দ্বিতীয়ত ভারতীয় আধিপত্যবাদকে নির্মূল করা। আমাদের ১ম লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়টা আমরা এখনও অর্জন করতে পারিনি। এখন আমাদের সুযোগ এসেছে ভারতীয় আধিপত্যবাদকে চিরতরে উৎখাত করতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে আবরার শহীদ হয়েছে। আমাদের এ লড়াইকে অব্যাহত রাখতে হবে৷
তিনি বলেন, বিগত সময়ে শেখ হাসিনার দুস্কর্মের আলোচনাগুলো এখন স্তিমিত হয়ে গেছে। তার দানবীয় কর্মকান্ড আমরা ভুলে যেতে শুরু করেছি। আমরা আওয়ামী লীগের দুস্কর্ম নিয়ে কথা বলছিনা বলেই সুযোগসন্ধানীরা কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। তাই আমাদেরকে সোশ্যাল মিডিয়ার বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। তার কর্মকাণ্ড স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। ছাত্র জনতার রক্তের মধ্য দিয়ে একটা বিপ্লব হয়েছে। এই বিপ্লবকে বিপদগামী করা যাবে না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাঝে কোনো বিভেদ যেন না আসে।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশের জন্য পরামর্শ দেয়।