ঈদযাত্রা সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন বাস কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ১৫ এপ্রিল শুক্রবার থেকে। গাবতলী, সায়দাবাদ, মহাখালী ও ফুলবাড়িয়া টার্মিনালে আগাম টিকিট বিক্রির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি আগামী সপ্তাহের মধ্যে আগাম টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেবে। মতিঝিল, মিরপুর, জোয়ারসাহারাসহ ১০টি ডিপো থেকে আগাম টিকিট বিক্রি করবে তারা।
দেশের এয়ারলাইন্সগুলোও অভ্যন্তরীণ রুটে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। এছাড়া নিয়ম অনুসারে যাত্রার পাঁচ দিন আগে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
ঈদে আগাম টিকিট বিক্রির প্রস্তুতির বিষয়ে বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের সভা হয়েছে গতকাল সোমবার। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ২৬ এপ্রিল থেকে ২ মের টিকিট ১৫ এপ্রিল থেকে বিক্রি করব। শ্যামলী ও হানিফ পরিবহনসহ বিভিন্ন কোম্পানি কাউন্টারের পাশাপাশি অনলাইনেও টিকিট বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিআরটিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক (পরিচালনা) শুকদেব ঢালী মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের সংস্থার মাসিক সমন্বয় সভা হয়েছে। সভায় ঈদ সামনে রেখে বাসের আগাম টিকিট বিক্রির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে কবে থেকে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে তা আগামী সপ্তাহের মধ্যে আমরা জানিয়ে দিতে পারব। সাধারণত ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে বিআরটিসির বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
বিমানের টিকিট বিক্রি শুরু
ঈদ উপলক্ষে দেশের এয়ারলাইন্সগুলো অভ্যন্তরীণ রুটে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা এক মাস আগে থেকেই ঈদের টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। এপ্রিলের ২৯ ও ৩০ তারিখের রাজশাহী, যশোর ও সৈয়দপুর রুটের টিকিটের চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে পরবর্তী ৭ থেকে ১০ দিন কক্সবাজার ও সিলেটের বিমানের টিকিটের চাহিদা বেশি।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার ২৮, ২৯ ও ৩০ এপ্রিলের টিকিটের চাহিদা বেশি। ঢাকায় ফেরার চাপ ৫ ও ৬ মে।
তিনি বলেন, বাড়ি ফেরার টিকিট সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে বরিশাল, রাজশাহী, সৈয়দপুর ও যশোরের। ঈদের পর কক্সবাজারে যাওয়ার চাপ থাকবে।
নভোএয়ারও অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
ট্রেনের টিকিট বিক্রির বিষয়ে জানাবেন রেলমন্ত্রী
ঈদযাত্রায় বিশেষ ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এজন্য সোমবার (১১ এপ্রিল) রেলপথ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। পরিকল্পনা অনুসারে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কমপক্ষে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
রেলওয়ের তথ্যানুসারে, এখন ২০১টি ইঞ্জিনের মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রেন চলাচল করছে। ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ১৮টি ইঞ্জিন যোগ করা হবে। এখন ৩৫১টি ট্রেন চলাচল করছে। ঈদ মৌসুমে তা আরও বাড়ানো হবে।
রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিচালনা) শাহাদাত আলী সরদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিয়ম অনুসারে যাত্রার পাঁচ দিন আগে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। ২৩ এপ্রিল থেকে অগ্রিম টিকিট দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে রেলওয়ের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রেল ভবনে সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলো জানাবেন রেলমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, রেলওয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল ২৭ তারিখের টিকিট বিক্রির প্রস্তাব করেছে। একইভাবে ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৮, ২৯, ৩০ এপ্রিল ও ১ মের টিকিট।