ঢাকা, বুধবার ১ মে ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১

উৎপাদন হতে পারে ২৮ লাখ টন, বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:১৫:০০ অপরাহ্ন | কৃষি ও প্রকৃতি

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে যখন অস্থিরতা চলছে, ঠিক তখন কৃষি মন্ত্রণালয় জানাল, এ বছর ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হতে পারে।  

 

রোববার (১০ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

আর মুড়িকাটা পেঁয়াজ ইতোমধ্যে বাজারে আসতে শুরু হয়েছে। এ বছর প্রায় ৮ লাখ টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ পাওয়া যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতি বছর মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ হয় প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয় প্রায় ৮ লাখ টন। এ বছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে।  

 

এ মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন নতুন পেঁয়াজ জমি থেকে তোলা এবং বাজারে আসা শুরু হয়েছে। বাজারে এ পেঁয়াজ থাকবে ৩ থেকে সাড়ে তিন মাস। এরপর মূল পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। সব মিলিয়ে পেঁয়াজ উৎপাদন হতে পারে প্রায় ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন।  

 

চলতি বছরের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৫ লাখ ৭১ হাজার ৫৩৪ টন পেঁয়াজ, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এক লাখ ৫৫ হাজার ২২৪ টন বেশি। গতবছর এ সময়কালে আমদানি হয়েছিল ৪ লাখ ১৬ হাজার ৩১০ টন।  

 

গত ৭ ডিসেম্বর নিজেদের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী মার্চ পর্যন্ত পণ্যটির রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।  

 

ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় ওইদিন জানায়, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকবে। এ নির্দেশনা পরদিন থেকে কার্যকর হয়।

 

এর আগে বিরূপ আবহাওয়ায় ফলন ভালো না হওয়ায় ভারত নিজেদের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গত ২৯ অক্টোবর প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ দেওয়া হয়।  

 

কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিল দেশটি। তবে কোনো দেশের সরকারের অনুরোধে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রপ্তানির সুযোগ দিতে পারবে বলে দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) আদেশে জানানো হয়েছে।  

 

এ ছাড়া ইতোমধ্যে যারা পেঁয়াজ আমদানির এলসি চালু করেছেন, তাদের মধ্যে যারা আদেশ জারির আগেই পণ্য শিপিং বা জাহাজীকরণ শুরু করেছেন, তারা এর আওতামুক্ত থাকবেন। এ ছাড়া শিপিং বিল দপ্তরে জমা দিলে এবং সংশ্লিষ্ট জাহাজ বন্দরে ভিড়লে বন্দর কর্তৃপক্ষ এ ধরনের চালান অনুমোদন করতে পারবে।

 

বর্তমানে ভারতের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ রুপির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু রপ্তানি বন্ধের সংবাদে বাংলাদেশে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকায় উঠেছে। একদিন আগেও দেশি পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, আর আমদানিকৃত পেঁয়াজ ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।  

 

গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের খুচরা দর সর্বোচ্চ ৬৫ টাকায় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এ দরে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়নি। পরে সরকার পেঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত করে দেয়। এরপরও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি।