দেশে দিনে দিনে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত এক বছরে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব পাঁচ হাজার বেড়েছে। আর তিন মাসে বেড়েছে ৩ হাজারের বেশি কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২৩ সালের জুনভিত্তিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ৭৩ হাজার ১৯২ টি। যেখানে জমা ছিল ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে— এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টি। এসব ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৭ লাখ ৩১ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। যা মোট আমানতের ৪৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
এর আগে, চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৬টি। যেখানে জমা ছিল ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে— এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ ১০ হাজার ১৯২টি। সেই হিসেবে তিন মাসের ব্যবধানে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৩ হাজার ৩৬২টি।
অন্যদিকে এক বছর আগে ২০২২ সালের জুনে কোটি টাকার হিসাব ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৪৫৭টি। যা জুন প্রান্তিকে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টিতে দাঁড়িয়েছে। ফলে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৫ হাজার ৯৭টি।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তি নয়। কারণ, ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়াও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে একজনের একাধিক কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব রয়েছে। পাশাপাশি সরকারি বিভ্ন্নি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থারও কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব রয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিল ৫ জন, ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। এরপর ১৯৮০ সালে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৮টি। এভাবে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে বাড়তে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি।