ঢাকা, সোমবার ৬ মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১

এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত প্রায় ৬২ হাজার পশু

মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২০ জুন ২০২৩ ০২:৪৪:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন
খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে খাদ্য খাইয়ে পশুর ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় মৌলভীবাজারে খামারি ও কৃষকরা)
 
 
মৌলভীবাজারে আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জেলায় ৬২ হাজার ৫২টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পশু প্রস্তুতি এর মধ্যে গরু ৪৩ হাজার ৬১৮, মহিষ ২ হাজার ৪২২ ও ছাগল-ভেড়া ১৫ হাজার ৯২২টি প্রস্তুত রয়েছে।
জানা যায়, খামারি ও পারিবারিকভাবে এসব পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। বাড়তি লাভের আশায় বাড়িতে বাড়িতে পশুর বাড়তি যত্ন আর লালন-পালনে নারী-পুরুষ মিলে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও পারিবারিক খামারি পরিবারগুলো।
এদিকে, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার খামারি ও কৃষকরা। বেশি দামে খাদ্য খাইয়ে পশুর ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন খামারি ও কৃষকরা।
কৃষক ও খামারিরা বলেন, কেউ বাড়ির গোয়ালে, আবার কেউ পারিবারিক খামারে এসব পশু মোটাতাজা করছেন। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ ঘাস খাইয়ে পশু মোটাতাজা করছেন তারা।
পারিবারিক পশুর খামারে জেলার ছোট-বড় অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আসন্ন কোরবানির ঈদে এসব পশু বিক্রি করে বাড়তি আয়ের আশা করছেন তারা।
অন্যান্য পশু চাষিরা বলেন, পশু পালনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে কেউ খামার করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। বাজারের গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়াই খরচ অনেক বেড়ে গেছে জানান তারা। পশুর হাট বাজার ভালো না হলে তাদের লোকসান গুনতে হবে তাদের।
অপরদিকে, মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কোরবানির আগে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) বা চর্মরোগে কয়েকশ গরু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে কৃষক ও খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ও কর্মধা ইউনিয়নে গরু লাম্পি স্কিনে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। ওই এলাকার দেওগাঁও গ্রামের কয়েছ আহমদ জানান, কোরবানির ঈদের জন্য গরু পালন করছেন তিনি। এখন গরুর গায়ে চর্মরোগ দেখা দেওয়ায় বিক্রি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
মোঃ শাহিন মিয়া নামে এক কৃষক বলেন, কয়েকদিন আগে তার গরুর লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দেয়। সারা গায়ে প্রচুর দাগ হয়েছে। নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হলেও রোগ সারেনি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এটি এক ধরনের চর্মরোগ। এলএসডি বা লাম্পি স্কিন হলে গরুর মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে গরু বা বাছুর প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয়। জ্বরের সঙ্গে মুখ ও নাক দিয়ে লালা বের হয় এবং পা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পরে খাওয়া বন্ধ করে দেয়।
মৌলভীবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ আব্দুস ছামাদ বলেন, কোরবানির চাহিদার তুলনায় জেলায় বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অফিসের তত্ত্বাবধানে অনলাইনেও পশু বিক্রি করা হবে। কৃষকরা যাতে করে ভালো দাম পায়- সে বিষয়ে তাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেলার সকল উপজেলায় মেডিকেল প্রস্তুত থাকবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ৬২ হাজার ৫২টি পশুর মধ্যে খামারিভাবে ৩৯ হাজার ৪৮৯ ও পারিবারিকভাবে ২২ হাজার ৫৬৫টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ রোগে আক্রান্ত গরুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।