সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের (ইউআরসি) দাবিতে মানববন্ধন পালন করেছেন ওসমানীনগর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকরা।
সোমবার বিকালে ওসমানীনগর প্রাথমিক শিক্ষক পরিবারের আয়োজনে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কটালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরুণ চন্দ্র দেবের সভাপতিত্বে থানা গাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দক্ষ ও যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক ছাড়া কোনভাবেই মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত সম্ভব নয়। তাই প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী, টেকসই ও মানসম্মত করার জন্যও ইউ আরসি প্রশিক্ষনের গুরুত্ব অপরিসীম। ২০১৪ সালে ওসমানীনগর পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ঘোষণা হওয়ার ৮ বছর পরও উপজেলা রিসোর্স সেন্টার স্থাপন না হওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নানা ভোগান্তিতে পড়েছেন। উপজেলার ১১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৬ শতাধিক শিক্ষক কর্মরত থাকলেও ইউ আর সি না তাকায় বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষনের জন্য তাদের পার্শবর্তী উপজেলায় প্রশিক্ষন নিতে হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নকল্পে ও শিক্ষকদের অব্যাহত প্রশিক্ষণ-সুযোগ সৃষ্টির জন্য দ্রুত ওসমানীনগর উপজেলায় ইউ আর সি স্থাপন ও ইন্সট্রাক্টর পদায়নের দাবি জানান শিক্ষকরা।
এসময় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অজিত পাল, প্রধান শিক্ষক সুভাষ দেবনাথ, কাজী শাহানার ইয়াসমিন বিনা, আব্দুর রব, অজিত দেব, মহেষ দাশ, ফুল মিয়া, বাবুল দাশ, প্রানেশ দাশ, সন্তুষ দেব, আতিকুর রহমান, অজয় কুমার দেব, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক নেতা মতি লাল দাশ গুপ্ত, মনোজ কান্তি দাশ, মনোজ কুমার দাশ, চমক আলী, কবির আহমদ, জাহাঙ্গির আলম, আতিক মিয়া, মলয় কান্তি দেব, বাবলু রঞ্জন দাশ, স্বপন আচার্য, রাসেদ আলী, ধন মিয়া।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান শিক্ষক প্রবির লাল সেন, লক্ষি রায়, নূর জাহান, নুসরাত জাহান, শেফায়েত উল্যা, উত্তম কুমার দাশ, সংকর লাল সেন, ঝর্না চৌধুরী, নরগিস সুলতানা, আব্দুল কাইয়ুম, কংকা বহ্নি, শেমলী দত্ত, আলতাব আলী, মন্দিরা রানী দাশ, ফাল্গুনী ভট্টাচার্য্য, সুক্লা রানী দেব, সহকারী শিক্ষক আমির হামজা, রুবেল আহমদ, মাহাজারুল ইসলাম, পাপ্পু বৈদ্য, শিক্তা রানী পাল, ঝলক গোষ্মামী, দিপা রানী চক্রবর্তী, নারায়ণ দেবনাথ নয়ন, ফরিদা চৌধুরী, প্রিয়াঙ্কা দে, কলি দেব, নুছরাত জাহান, সুজেতা রানী দত্ত, রত্না রানী দাস, রিতা দে, সাইফুর রহমান, ফয়জুল রহমান, শেখর দেব, পবিত্র কুমার বেপারী, দেবাষীশ আচার্য, সুজেতা দত্ত, তুরণ মিয়া, জাহাঙ্গির আলম, আমিনুল ইসলাম, পল্লবী দাশ, রূপালী রানী দাশ, পপি রায় চৌধুরী, সুজিত সেন, আবু ইউসুফ, কালাম আল দিন, অনুপম দেবনাথ, আবুল বাশার সুমন, ফারহানুজ্জামান চৌধুরী, মঞ্জু রানী নাথ, আব্দুলাহ আল মোবারক, হেপি দাশ, নির্মল ধর, মঞ্জু রানী দাশ, মল্লিকা দেবনাথ, সুমি বেগম, মনসুর আহমদ, কামাল মিয়া, চাঁন মিয়া, খলিল মিয়া, সুলেমান আহমদ, সুয়েব আহমদ, কিশোর ভট্টাচার্য্য, মিজানুর রহমান, বশির মিয়া, জেসমিন বেগম, সেলিনা বেগম, জামাল উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম সফর, সুশিল দেবনাথসহ প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক।