ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কবি আল মাহমুদকে মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও স্বাধীনতা পদক প্রদানের দাবী

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৭:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মাহমুদকে মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও স্বাধীনতা পদক প্রদানের দাবী ওঠেছে কবির জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এই দাবী উত্থাপিত হয়। 
 
 
কবি আল মাহমুদের প্রতি রাষ্ট্রকৃত বৈষম্য নিরসনে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে সমাবেশের আয়োজন করে কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, কবি মহিবুর রহিম, 'কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ'র সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সাধারণ সম্পাদক জিহাদ হোসেন লিটন প্রমূখ। 
 
 
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আল মাহমুদ কবি হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও কবিতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধেও ছিলো তাঁর অসীম দক্ষতা। সাংবাদিকতাতেও তিনি ছিলেন অনন্য। বাংলা সাহিত্যের সকল শাখায় ছিলো তাঁর অবাদ বিচরণ। তৎপ্রেক্ষিতেই তিনি ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিতের অন্যতম প্রধান কবি। সোনালী কাবিন, লোকলোকান্তর, কালের কলস প্রভৃতি তাঁর কালজয়ী রচনা। বায়ান্ন'র ভাষা আন্দোলন এবং একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান ঈর্ষনীয়। অথচ রাজনৈতিক বৈষম্যের কারণে মৃত্যুর পর কবিকে দেয়া হয়নি কোনো রাষ্ট্রীয় সম্মাননা এমনকি দেয়া হয়নি স্বাধীনতা পদক। তৎপ্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রকৃত বৈষম্যের নিরসন করে কবি আল মাহমুদকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদানে রাষ্ট্রের কাছে দাবী তুলে ধরেন বক্তারা। পরে একটি র‌্যালী বের হয়ে শহরস্থ মৌড়াইল এলাকায় তাঁর কবরে জাতীয় পতাকা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বিএনসিসির পক্ষ থেকে গার্ড অব অর্নার প্রদান এবং মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। 
 
 
উল্লেখ্য, আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহন করেন এবং বিগত ২০১৯'র ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।