ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কাপ্তাইয়ের রাইখালীর পাহাড়ে মাল্টা চাষে সাফল্য

কাপ্তাই প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:৪৬:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন
কাপ্তাই উপজেলাধীন রাইখালী ইউনিয়নের কারিগরপাড়া কৃষি ব্লকের  হাতিমারা মুখের পাহাড়ি অনাবাদি জমিতে মাল্টা চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে স্থানীয় কৃষক জসিম উদ্দিনের।
 
ইউনিয়নের রাজস্থলী-বাঙ্গাল হালিয়া-চন্দ্রঘোনা সড়কের পাশে হাতিমারা নামক এলাকায় ৪ একর ৫০ শতক পাহাড়ি জমিতে মাল্টার চাষ করেন তিনি।
 
    সরেজমিনে সম্প্রতি তার বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, সারিসারি নয়নাভিরাম মাল্টা গাছে মাল্টা ঝুলে আছে। গত ৩ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি এই বাগান গড়ে তুলেছেন। পাহাড়ী পরিবেশে এমন মাল্টার বাগান দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
 
   আলাপকালে জসিম উদ্দিন জানায়, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ৪ একর ৫০ শতক এই পাহাড়ি কৃষি জমিতে তিনি মাল্টা বাগান গড়ে তোলেন। প্রায় ২ হাজার মাল্টা গাছ রোপণ করেন ওই বাগেনে। একাজে তিনি নিজে পরিশ্রমের পাশাপাশি দৈনিক ভিত্তিক ২ জন শ্রমিকও নিয়োজিত করেন। মাল্টা গাছের পাশাপাশি জসিম তার বাগানে শতাধিক পেয়ারা, বড়ই, লেবু  এবং সফেদা ফলের চারাও লাগিয়েছেন। অধিকাংশ গাছেই বেশ ফলন হয়েছে। তবে কিছু গাছের মাল্টা পরিপক্ক হওয়ায় চলতি সপ্তাহে তিনি বেশ কিছু গাছ থেকে মাল্টা সংগ্রহ পূর্বক বিক্রি করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় করেন। তিনি আশা করছেন আগামী বছর বাগানের সব ক'টি গাছে ফলন হলে তিনি প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন। একাজে তিনি উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান, সবসময় কৃষি কর্মকর্তারা এসে তাকে পরামর্শ প্রদান করায় তার বাগানের ফলন ভাল হয়েছে বলে তিনি জানান।
 
    কৃষি বিভাগের কারিগর পাড়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাপ্পা মল্লিক জানান, তিনি প্রায়ই তার বাগান পরিদর্শন করেন এবং তাকে পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। ব্যক্তি উদ্যোগে তিনি বিশাল বাগান সৃজন করে কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
 
    কাপ্তাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মধুসূদন দে জানান,  তিনিও কৃষক জসিমের মাল্টা বাগান পরিদর্শন করেছেন। সত্যিই তার বাগান দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায়না। সবুজে সবুজে গাছ এবং ফলে ভরে আছে তার বাগানটি। এঅঞ্চলে কৃষি বিপ্লবে কৃষক জসিমের এই উদ্যোগ তাদের সকলের জন্য একটি উদাহরণ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, কৃষি বিভাগ সবসময় জসিম উদ্দিনসহ প্রান্তিক কৃষকদের পাশে ছিল এবং থাকবে। এরকম ব্যক্তি উদ্যোগে যদি অনেকে এগিয়ে আসে, তাহলে দেশে কৃষি ক্ষেত্রে বিপুলের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।