
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষার্থী লুৎফর রহমানকে আটক করে নির্যাতন ও প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ কুয়েটের প্রফেসর, সাবেক রেজিস্ট্রার, ছাত্রলীগ সভাপতি ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মুখ্য মহানগর হাকীমের আমলী আদালতে আরজিটি দাখিল করেন সাবেক শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান। আদালতের বিচারক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল ইসলাম আরজিটি আমলে নিয়ে খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জকে নিয়মিত মামলা রুজু করে আদালতকে অবহিত করার আদেশ প্রদান করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন কুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, সাবেক রেজিস্ট্রার জি এম শহিদুল ইসলাম, কুয়েট ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি সাফায়াত হোসেন নয়ন, সাধারণ সম্পাদক আলী ইমতিয়াজ সোহান, ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ আসাদুজ্জামান, লালন শাহ্ হলের ছাত্রলীগ কর্মী রুদ্রনীল সিংহ প্রভ, এইচ এম তানবীর রেজওয়ান সিদিক, আল ইশমাম, রেশাদ রহমান, তরিকুল তিলক, পরিমল কুমার রায়, আলী ইবনুল সানি, তারিক আহমেদ শ্রাবন ও দৌলতপুর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন।
আরজি সূত্রে জানা যায়, কুয়েট শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান লালন শাহ্ হলে থাকতেন। ছোটবেলা থেকে মাদ্রাসায় পড়াশুনা করতো এবং পরিবারিক ভাবে ধার্মিক ছিলেন। যে কারণে বাদী নিয়মিত নামাজ রোজা এবং ইবাদাত বন্দেগী করতেন। সে কারণে আসামিরা তাকে শিবির হিসাবে সন্দেহ করতো। গত ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে আসামিরা তাকে তার রুম থেকে ডেকে হলের গেস্ট রুমে নিয়ে কিল, চড়, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে এবং ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্দয় ভাবে পিটাতে থাকে। পরবর্তীতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত বাবস্থা গ্রহণ না করে তাকে গ্রেফতার করে এবং নাশকতার মামলা করে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(২) ধারায় খানজাহান আলী থানায় মামলা নং-২ তাং-০২/০২/২০১৭ মামলা দায়ের করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় জেলখানায় থেকে ২০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয় এবং তার দু’টি কিডনীই নষ্ট হয়ে যায়। তার এখন ডায়ালাইসিস নিয়ে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।