নিরাপত্তা জোরদারসহ নয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনে নেমেছেন। রবিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সকল ধরণের ক্লাশ বর্জন করে কলেজ ক্যাম্পাস ও অধ্যক্ষের রুমের সামনে ঘন্টাব্যাপী আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে প্রথম দিনের মতো আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
ইনটার্ন চিকিৎসক অনুপম দত্ত অর্ঘ বলেন, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার, ক্যাম্পাস থেকে বাণিজ্যিক ব্যানার অপসারণ, লেডিস হোস্টেলের নামকরণ, বয়েজ হোস্টেলের সকল হলের ইলেকট্রিকাল বোর্ড, বয়েজ হোস্টেলের নতুন ভবনের নামকরণ, কলেজ ক্যান্টিন ও হোস্টেল ক্যান্টিন ডেকোরেশন, লেডিস হোস্টেলের র্যান্টিন সংস্কার, হোস্টেলের রিডিং রুম সুসজ্জিত এবং স্পোর্টস উইক (এক্সুয়াল) আয়োজন অচিরেই করতে হবে।
মেডিকেল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী নাঈমুর রশিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তাসহ নানা সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানালেও কর্ণপাত না করায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বাণিজ্যিক ব্যানার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের জন্য চরম লজ্জাজনক ও হতাশাজনক। এসব ব্যানার অপসারণের জন্যও দাবি তোলা হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই ক্লাশ বর্জন করে আন্দোলনে নেমিছি। সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া বিনতে রহিম বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল দেশের প্রথম সারির মডেকেলের মধ্যে অন্যতম। এই ক্যাম্পাসটি আমাদের বাড়ির মতো। কিন্তু সেখানে আমাদের নিজের ইচ্ছা মতো চলতে পারি না। সন্ধ্যা হলেই বহিরাগতরা আড্ডায় মেতে উঠে। এছাড়া হোস্টেল ও কলেজের ক্যান্টিনের খাবারগুলো মানসম্মত না। আমরা আশা করছি প্রশাসন এগুলো দ্রæত সমাধান করতে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা.চিত্তরঞ্জন দেবনাথ বলেন, শিক্ষার্থীরা যেসব দাবিতে হঠাৎ করে আন্দোলনে নেমেছে তা কোনদিন আগে বলেনি। বহিরাগত বলতে আমার আপনার এবং শিক্ষার্থীদের স্বজনরাই আসে। তারপরেও যেহেতু ক্লাশ বর্জন করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে সেহেতু তাদের সমস্ত দাবি পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হবে। এবং তাদেরকে ক্লাশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে।
