ঢাকা, শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০শে কার্তিক ১৪৩১

ক্ষমতায় গেলে আহত ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি বিএনপির

রিয়াদ হাসান | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৩:২১:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি; যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাই, তখন অবশ্যই সকল আহত ও শহীদদের পরিবারের সঙ্গে আমরা বসে তাদের প্রত্যেকের জন্য যেভাবে পুনর্বাসন করা দরকার, চিকিৎসা করা দরকার, আমরা সেই ব্যবস্থা আমরা নিব।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে একথা বলেন তিনি। এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন আহতদের পাশে দাঁড়াতে। আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা প্রেরণ করেছেন। আমাদের দলের স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিক প্রত্যেকের কাছে এটা বিতরণ করে যাবেন। 

কিছু আহতকে দ্রুত বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, যাদের দেশে সুচিকিৎসা সম্ভব নয়, সেগুলো চিহ্নিত করে শীগগিরই তাদের বিদেশে পাঠাতে সরকারকে অনুরোধ করবো। একই সঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান দলের এই অন্যতম শীর্ষনেতা।

তিনি আরও বলেন, যারা গুরুতর আহত এখানে চিকিৎসাধীন আছে তাদের চিকিৎসা মোটামুটি হলেও অন্যান্য যে আর্থিক সহায়তা সেটি তারা পাননি এবং চিকিৎসার বাইরেও তাদের যে সহায়তার দরকার সেটাও আমরা বুঝি। তারা অনেকেই বলেছেন তাদের এক লক্ষ টাকা দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি তা তারা পাননি। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি যারা এটার দায়িত্ব নিয়েছেন তারা যেন এই আর্থিক সহায়তা দ্রুত পৌঁছে দেন।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গণহত্যাকারী, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসকগোষ্ঠি শেখ হাসিনা এবং তার দোসররা কিভাবে এই মুক্ত বাতাসে ঘুড়ে বেড়ায় এবং কিভাবে বাংলাদেশে রাজনীতি করার চিন্তা করে আমার মাথায় আসে না।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা মিলছে না এবং সরকারের তরফে খোঁজ নেয়া হয় না-এমন অভিযোগ তুলেছেন আহতরা। এই অভিযোগ তুলে গতকাল (বুধবার) দুপুর ১টা থেকে বিক্ষোভ করেন শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীনরা। পরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন পাশের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি আহতরাও।

এই বিক্ষোভ চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান নেন তারা। পরে তাদের শান্ত করতে এদিন দিবাগত রাত আড়াইটায় সেখানে যান সরকারের চারজন উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার একজন সহকারী। পরে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে প্রায় সাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর সড়ক থেকে হাসপাতালে ফিরে যান বিক্ষুব্ধরা।

 

বায়ান্ন/এসএ