ঢাকা, মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১লা আশ্বিন ১৪৩১

গ্রেনেড হামলাকারীরাই পূজা মন্ডপে কোরআন রেখে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলো : মাওলানা ইসমাইল

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২০ নভেম্বর ২০২১ ১০:২৯:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি
সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জঙ্গিবাদ ওসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আলেম ওলামাদের করণীয় কি শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে দোয়া

বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন বলেছেন-যারা ২১ আগষ্ট  গ্রেনেড হামলা ও পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছিল তারাই পুজা মন্ডপে পবিত্র কোরআন রেখে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা করছিলো। এটা এখন স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্যই ওই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। তিনি সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান।

শনিবার (২০ নভেম্বর) খুলনা প্রেসক্লাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আলেম ওলামাদের করনীয় কি? শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

তিনি বলেন, ২১ অগাস্টের বিভীষিকাময় বিকেলের গ্রেনেড হামলার বিষয়টি নিছক একটি সন্ত্রাসী ঘটনা ছিল না। এটা ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ। ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে যেমন বাংলাদেশের রাজনীতির পশ্চাৎযাত্রা শুরু হয়েছিল, তার ধারাবহিকতায়ই ২১ অগাস্ট ঘটানো হয়েছিল আওয়ামী লীগকে দুর্বল করার জন্য, ক্ষমতার রাজনীতিতে দলটিকে অকার্যকর করার জন্য। কিন্তু এই কাজে যে জঙ্গি গোষ্ঠীকে ‘হায়ার’ করা হয়েছিল তারা সম্ভবত তাড়াহুড়া করতে গিয়ে লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। শেখ হাসিনাসহ দলের শীর্ষ নেতাদের জীবন রক্ষা পেলেও আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ কমপক্ষে ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। শেখ হাসিনাসহ তিনশ রও বেশি নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন। এদের অনেকেই সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কেউ কেউ এখনও শরীরে অসংখ্য স্প্লিন্টার নিয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছেন। ২১ অগাস্টের বীভৎস হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবেই চিহ্নিত থাকবে।

সার্বিক পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রেখে মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে এসব বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী এবং তাদের দোসরদের গ্রেফতারের আওতায় আনতে হবে। মসজিদ ,মন্দির ,পূজা মন্ডপ, ঈদগা এরূপ ধর্মীয় উপাসনালয় গুলোকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, অধ্যক্ষ মাওঃ মুফতি ইলিয়াস হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি। আরো বন্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওলানা মুফতি মোস্তফা চৌধুরী (প্রেসিডিয়াম সদস্য), আলহাজ্ব মোঃ শাহিন খান (প্রেসিডিয়াম সদস্য), মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুর রহমান, মাওলানা মোহাম্মদ আবুল খায়ের জাকারিয়া, মাওলানা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন কাশেমি, মাওলানা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা মোহাম্মদ রফিকুর রহমান, ক্বারি মোহাম্মদ ইমদাত, সহ শীর্ষ ¯’ানীয় ওলামায়ে কেরাম ও পীর মাশায়েখ গণ।