ঢাকা, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ : চুয়েট বন্ধ, হল ত্যাগের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১৪ জুন ২০২২ ০৩:২৮:০০ অপরাহ্ন | শিক্ষা

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৬ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ঈদুল আযহা উপলক্ষে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। 

 

পাশাপাশি ছাত্রদেরকে মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকেল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদেরকে বুধবার (১৫ জুন) সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

 

 

মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।

 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে বিরাজমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য ড. রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে চুয়েটের সব ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এর সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তক্রমে আজ মঙ্গলবার থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম পরীক্ষাসহ এবং আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হলো। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৬ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ঈদুল আযহা উপলক্ষে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

 

 

একইসঙ্গে ছাত্রদেরকে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদেরকে আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।

 

তবে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চলমান সব একাডেমিক কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।

 

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার শহরে একটি বাস ৩০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পক্ষ দুটি আ জ ম নাছির উদ্দীন ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসানের অনুসারী বলে পরিচিত। এ ঘটনায় দুজন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এরই জের ধরে গত দুইদিন ধরে ছাত্রলীগের দু'পক্ষের 

মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

 

এছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরে আসার সব বাস আটকে দেয়। সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহনের বাস চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশে রওনা দিলে তারা বাসগুলো আটকে পুনরায় গ্যারেজে ফেরত পাঠায়।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা ও এক ছাত্র ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্বাধীনতা চত্বরের আশপাশে অবস্থানকারী ওই তরুণদের হাতে রামদা ও লাঠি দেখা গেছে। এসময় তাদের মাথায় হেলমেট ছিল। তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলেও জানান তারা।