ঢাকা, রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১

জকিগঞ্জ ও হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সিলেট ব্যুরো: | প্রকাশের সময় : বুধবার ২২ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:২৮:০০ পূর্বাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন





সিলেটের জকিগঞ্জে ও হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার আড়াইটার দিকেজকিগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার এলাকায় ট্রলির ধাক্কায় মনোয়ারা বেগম ময়মুন নামের এক সংরক্ষিত নারী সদস্য পদপ্রার্থীর মৃত্যু ঘটেছে। নিহত ময়মুন বেগম ৮ নং কসকনকপুর ইউনিয়নের ৩নং সংরক্ষিত আসন থেকে সুর্যমুখী ফুল নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।

সোমবার প্রতীক পেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেছিলেন। কিন্তু প্রচারণার সময় ট্রলি কেড়ে নিলো তার প্রাণ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ময়মুন বেগম নির্বাচনী প্রচারণা করে বাড়ি ফেরার পথে একটি ট্রলি তাঁকে ধাক্কা দিয়ে মারাত্মক আহত করে। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মেহেদী জানান, নিহত মহিলার মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম রয়েছে। স্থানীয়রা তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।

জকিগঞ্জ থানার ওসি আবুল কাসেম জানান, নিহত মহিলার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে। ট্রলি চালকের পরিচয় নিশ্চিত করা হচ্ছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

এদিকে হবিগঞ্জ ইকরাম আঞ্চলিক সড়কের নকলারআব্দা এলাকায় টমটম নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে পড়ে জিলু মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অন্তত ৩ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত জিলু মিয়া বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

বানিয়াচং থানার (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান, হবিগঞ্জ শহরের কামড়াপুর এলাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া মক্রমপুরগামী একটি টমটম নকলারআব্দা এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে টমটমের নিচে চাপা করে গুরুতর আহত হন জিলু মিয়াসহ অন্তত ৩ জন।

তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিলু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরো জানান, মরদেহের ছুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে মর্গে প্রেরণ করা হবে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।