জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিদ্যুৎ অফিসের প্রকৌশলী শামসুল হক মৃধার বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন ঐ অফিসের এক কর্মচারী।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যুৎ অফিসে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ঐ প্রকৌশলীর বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যুৎ অফিসের উপপ্রধান হিসেবে কর্মরত। ভুক্তভোগী কর্মচারীর মোহাম্মদ ইব্রাহিম ঐ অফিসের বিদ্যুৎ সুপারভাইজার।
ভুক্তভোগী জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ছুটির দিনে অফিস না থাকায় আমি এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে গিয়েছিলাম। বিকাল তিনটায় প্রকৌশলী শামসুল হক মৃধা আমাকে ফোন দিয়ে বলে অফিসে আসতে। আমি সাভার না থাকায় তাকে জানালে তিনি কিছু না বলেই ফোন কেটে দেন। পরের দিন ১৭ সেপ্টেম্বর অফিসে আসলে তিনি আমাকে ডেকে অন্যান্য কর্মচারীদের সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং পরপর তিনবার চেয়ার থেকে উঠে আমার দিকে তেড়ে এসে মারতে যান।
এছাড়াও গত কিছুদিন আগে যখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা বন্যার্তদের সহযোগিতায় নতুন কলা ভবনের ত্রাণ তুলছিলেন তখন তীব্র গরমে তাদের জন্য ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হয়। এ সময় অফিসে কর্মরত কর্মচারীদের শামসুল হক মৃধা নিজ বাসায় নিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন। লোক সংকট দেখা দিলে তাকে আমি ফোন দিয়ে জানালে তখনো তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
অফিস সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ অফিসের উপপ্রধান প্রকৌশলী শামসুল হক মৃধা অফিসের দুইজন হেল্পার দিয়ে অফিস নিয়ন্ত্রণ করতেন। এক হেলপারকে অফিসের চারটা আলমারির চাবি দিয়ে অফিসের জিনিসপত্র নড়চড় করতেন। প্রায় সময়ই নিজ প্রয়োজনে কাজ করানোর জন্য অফিসের কর্মচারীদের বাসায় নিয়ে যেতেন। কর্মচারীদের ওভারটাইম কাজের অর্থ ঠিকভাবে না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করতেন। কিছু বললেই কর্মচারীদের সাথে গালিগালাজ ও অশোভনীয় আচরণ করতেন। এছাড়াও বৈদ্যুতিক কাজে নিম্নমানের জিনিসপত্র ব্যবহার করে এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। তাকে টাকা দেয়া না হলে ঠিকাদারদের কাজ দিতেন না।
এসব অভিযোগের বিষয়ে প্রকৌশলী শামসুল হক মৃধা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তবে হ্যাঁ, বিদ্যুৎ অফিসের সুপারভাইজারের সাথে আমার বাকবিতাণ্ডা হয়েছে। আসলে বর্তমান পরিস্থিতিতে যে যেমন পারছে তেমন অভিযোগ উঠাচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী অফিসের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সালাম মো. শরীফ বলেন, আমি জেনেছি তাদের দুজনের ঝামেলা হয়েছে। কিন্তু বিস্তারিত আমি জানি না।