সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার বিএনপির চার নেতা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। কারামুক্ত নেতারা হলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল আহাদ খান জামাল, মহানগর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শামীম মজুমদার, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলিবুর রহমান ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুস সবুর। রোববার সন্ধ্যায় মুক্তি পাওয়ার পর কারাফটকের সামনে তাঁদের বরণ করে নেয় জেলা ও মহানগর বিএনপি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জামিনে মুক্তি পাওয়া নেতাদের বরণের পাশাপাশি ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
কারাফটকের সামনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি বলেন, সারা দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করছে। বিএনপির আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা দেখে আওয়ামী লীগ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন ও গণগ্রেপ্তার চালাচ্ছে। ন্যায্য দাবিতে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বক্তব্যে আরও বলেন, মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকারকে আর একমুহূর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনগণ রাস্তায় নেমেছে। তাদের সময় ফুরিয়ে এসেছে। মামলা-হামলা ও গ্রেপ্তার করে বিএনপির চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। শিগগিরই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সিটি নির্বাচনের আগে গত ২ মে থেকে সিলেটে একের পর এক বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা শুরু করে পুলিশ। কয়েক দিনের ব্যবধানে বিএনপির অন্তত ২০ নেতা-কর্মী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। তখন বিএনপি অভিযোগ করেছিল, সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ এ ‘ধরপাকড়’ শুরু করেছে।