ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬শে পৌষ ১৪৩১

জিয়া পরিবারের ঐতিহাসিক পুনর্মিলন: এক আবেগঘন মুহূর্ত

আহমেদ শাহেদ | প্রকাশের সময় : বুধবার ৮ জানুয়ারী ২০২৫ ০৭:১৭:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

জিয়া পরিবারের জন্য আজ এক অবিস্মরণীয় এবং ঐতিহাসিক দিন। সূর্যের উজ্জ্বল আলোয় উদ্ভাসিত লন্ডনের সকালের মিষ্টি আবহে ঘটেছে এক বিরল পুনর্মিলন। দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর পর বিএনপির চেয়ারপারসন এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার বড় ছেলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করেন।

যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অবতরণ করে। বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ তারেক রহমান মাকে বুকে জড়িয়ে ধরে তাদের দীর্ঘদিনের বিচ্ছেদের যন্ত্রণা ভুলে যান। এই আবেগঘন মুহূর্তে মা-ছেলের চোখে অশ্রু জমে ওঠে।

তারেক রহমানের সঙ্গে তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানও বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। তারা দু’জনই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

লন্ডন পৌঁছে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করার পর খালেদা জিয়াকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সরাসরি হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, তাকে লন্ডনের ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হবে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

ঢাকা থেকে যাত্রার আগে, মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হন খালেদা জিয়া। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা।

খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ দলটির অসংখ্য নেতাকর্মী বিমানবন্দরে ভিড় করেন। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। দীর্ঘদিন ধরে উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার শারীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছিল। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যুক্তরাজ্যে নেওয়ার এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২০১৭ সালের ১৫ জুলাই সর্বশেষ লন্ডন সফর করেছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর নানা প্রতিকূলতায় মায়ের সঙ্গে সরাসরি দেখা হয়নি তারেক রহমানের। এই পুনর্মিলন শুধু জিয়া পরিবারের জন্য নয়, বিএনপির সমর্থকদের কাছেও এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

বায়ান্ন/এসএ/পিএইচ