পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ঈদের সময় পর্যটন এরিয়ায় অনেক বেশি লোক সমাগম হয়, সেখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও আমরা কাজ করছি। ঈদের পুরো সময়টায় নিরাপত্তা বজায় রাখতে পুলিশ, আনসার, র্যাব সম্মিলিতভাবে কাজ করবে। তিনি বলেন, ‘যারা ঈদ উদযাপনে বাড়ি ফিরছেন, তারা কেউ ঝুঁকি নিয়ে যাবেন না।’
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ঝুঁকি নিয়ে ঈদযাত্রা না করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা ঈদ উদযাপনে বাড়ি ফিরছেন, তারা কেউ ঝুঁকি নিয়ে যাবেন না। কোনও রকম তাড়াহুড়ো না করে নিরাপদে বাড়ি গিয়ে আবার ফিরে আসাই আমাদের কাম্য।’
গত ঈদের মতো নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে হবে মন্তব্য করে আইজিপি বলেন, ‘রেল, সড়ক ও নৌপথে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করছে। কালোবাজারে টিকিট বিক্রি বন্ধ করতে রেলওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। সাধারণ যাত্রীদের কোনও সমস্যা যাতে না হয়, সেজন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। গত ঈদেও যাত্রীরা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পেরেছে, এবারও তা নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের মানুষের যাত্রা সহজ করা হয়েছে। রাস্তা ও লেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করায় গতবারের ঈদযাত্রা অনেক স্বস্তিদায়ক হয়েছে।’
কোনও প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে কল করার পরামর্শ দিয়ে আইজিপি বলেন, ‘যাত্রী সাধারণের নিরাপদ যাত্রার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। অনেকে কল দিয়ে তাড়াহুড়োভাবে সমস্যার কথা বলেন, ফলে মাঝেমধ্যে আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয়, কোথায় কী হয়েছে। তাই যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, সঠিক তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করতে। তাছাড়া যেসব ব্যবসায়ী টাকা বহন করবেন, সেটা যেন নিরাপদ থাকে, তা নিশ্চিতের জন্য আমাদের সাহায্য গ্রহণ করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পশু পরিবহনের জন্য দুটি করে রেলের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সড়কে পশু বহনের ক্ষেত্রে কোন গাড়ি কোথায় যাবে, তা গাড়ির সামনে লিখে রাখবেন। আর যাত্রা পথে কেউ যদি পথে গাড়ি থামায়, চাঁদা চায়, তাহলে আমাদেরকে জানাবেন। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু চাঁদা গ্রহণকারীকে আমরা গ্রেফতার করেছি। যাত্রী সাধারণের নিরাপদ যাত্রার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।’