সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনারের পতাকাবাহী গাড়ি গুলশানের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। এই সাক্ষাতে হাইকমিশনের চ্যার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মিচেল লো, সিঙ্গাপুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেস্ক অফিসার রাহুল আব্রাহাম ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।
সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিলো। দুই দেশের মধ্যে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তারা বিশ্বাস করে যে, দুইদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বিনিয়োগসহ যে সব বিষয়ে সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে সেই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তারা মনে করে যে, বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকার থাকলে সেই সিদ্ধান্তগুলো নিতে সহজ হয়, তারা এও মনে করে যে, একটা নির্বাচিত সরকার ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকান্ড এগিয়ে নেয়া সম্ভব না।
তিনি বলেন, দক্ষ শ্রমশক্তি কিভাবে আমরা সেখানে (সিঙ্গাপুরে) পাঠাতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যেমন সিঙ্গাপুরে প্রচুর নার্স দরকার, অন্যান্য ক্ষেত্রে স্কীল ওয়ার্কার নিতে তাদের উৎসাহ আছে। আমাদের শ্রম শক্তিকে আরও স্কীল করার জন্য সিঙ্গাপুর বিভিন্ন ইন্সটিটিউশনের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে চায়, টেকনিক্যাল সহযোগিতা দিতে চায়।
তিনি আরও বলেন, সিঙ্গাপুরে বন্দর ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত দক্ষ। তারা আমাদের দেশের বন্দরগুলো কার্যকর করতে সহযোগিতা করার আগ্রহও প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জাহাজ নির্মাণ শিল্পেও সিঙ্গাপুর সহযোগিতা করতে চায়, এনার্জি ও ফাইনান্সিয়াল সেক্টারেও তারা কাজ করার কথাও বলেছে।
নূর হোসেনে দিবসকে কেন্দ্র আওয়ামী লীগের কর্মসূচি করার পরিকল্পনা কীভাবে দেখছে বিএনপি-এমন প্রশ্নে আমীর খসরু বলেন, দেশের মানুষ যখন আপনাকে বিতাড়িত করে তখন আপনি একেক সময়ে একেক কাভারে আসতে চান। কোনো কোনো সময় হিন্দু-মুসলিম হয়ে, আবার এখন ট্রাম্প চিত্র আসছে। এখন যাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে তারা অন্য বেশে আসতে চাচ্ছে। এটা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব। তারা যে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস হয়েছে এটাই তার প্রমাণ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ কেন ট্রাম্পের বেশে আসতে হবে? কেন হিন্দুদের অত্যাচারের অজুহাত হয়ে আসতে হবে? কেন তারা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে এই অবস্থায় পৌঁছালো। আবারও বলছি তারা এখন দেউলিয়া হয়ে বিভিন্ন মোড়কে আসার চেষ্টা করছে। তার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে হলে নিজেকে দেশে আসতে হবে। কিন্তু তার সেই সমর্থনও নাই।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে