সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডিম ও ব্রয়লার-সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। অন্যদিকে বিক্রেতাদের দাবি, গত দুই সপ্তাহে দাম বাড়েনি আবার কমেওনি। আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললে তাদের এমন মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়।
ক্রেতারা বলছেন, গত দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, যা এখন ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার কোথাও-কোথাও দাম আরও ৫ টাকা বেশি নিচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দামও বেড়ে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি মুরগি ৪২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের পাশাপাশি বেড়েছে ডিমের দামও। বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম ডজন প্রতি পাঁচ টাকা বেড়েছে। তাতে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা দরে। তবে, এই ক্ষেত্রে কিছুটা কম আছে ফার্মের মুরগির সাদা ডিম।
সেগুন বাগিচা কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা কামরুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি কিনেছি ১৭০ টাকায়। সেটা আজকে কিনলাম ১৮০ টাকায়। সপ্তাহ ঘুরতেই ১০ টাকা দাম বেড়ে গেল।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগেও ডিম প্রতি পিস ১৪ টাকা করে কিনেছি। সেটা আজকে ১৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তবে ৩০টা কিনলে সেই ক্ষেত্রে কিছুটা দাম কম নিচ্ছে।
একই বাজারে মুরগির ব্যবসা করেন লোকমান হোসেন। তিনি বলেন, আমরা তো ডিম-মুরগি উৎপাদন করি না। পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, মুরগির দাম আগের মতো আছে। দাম বাড়েও নাই, আবার কমেও নাই। আগেও ব্রয়লার ১৭৫-১৮০ টাকায় বিক্রি হতো এখনো সেই দামই আছে। আর কক মুরগি ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ২-৩ সপ্তাহ ধরে এই দামে বিক্রি হয়ে আসছে।
ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি পিস ডিম পাইকারিতে কিনতে হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ টাকায়। আমরা বিক্রি করছি ১৫ টাকায়।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় খামারিরা মুরগি মরে যাওয়াসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যার কারণে উৎপাদন কমেছে। সবমিলে এখন ডিমের দামটা একটু বেশি।
অন্যদিকে উচ্চমূল্যের দিক থেকে সেই আগের মতোই উচ্চাসন ধরে রেখেছে গরু ও খাসির মাংস। বাজারে এখন গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা আর খাসি ১ হাজার টাকায়।
গরুর মাংস ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, গরু-খাসির মাংসের দাম বাড়েনি। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে, দাম না বাড়লেও দিন দিন মাংসের ক্রেতা কমছে।